বাংলাফ্লো আন্তর্জাতিকডেস্ক

ঢাকা:  জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাম কাণ্ডের জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ট্যামি ব্রুস কাশ্মিরে হামলার ইস্যুর ওপর বেশ জোর দেন।

তিনি বলেন, এবার পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আসি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে রয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের সকল কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একইসঙ্গে এই নৃশংস হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।

ব্রিফিংয়ে,পাক-ভারত উত্তেজনা নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে জবাবে তিনিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ,ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।

ব্রুস আরও বলেন, আমি এই বিষয়টি শুরুতেই তুলেছিলাম, কারণ ঘটনাটি সত্যিই ভয়াবহ। তবে আপাতত এটুকুই আমাদের মন্তব্যের সীমা হবে। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে, যেমনটা আপনারা অনুমান করতে পারেন, এটি একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি এবং আমরা তা খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এই মুহূর্তে জম্মু ও কাশ্মীরে স্থিতিশীলতা নিয়ে কোনও অবস্থান জানাচ্ছি না।

ব্রিফিংয়ে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা ইস্যুতে পাকিস্তানি এক সাংবাদিকও প্রশ্ন করেন। তবে এর সরাসরি কোনও জবাব দেননি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র। কার্যত তিনি ওই প্রশ্নটি এড়িয়ে গেছেন। ওই সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন, নিজের প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

ব্রুস বলেন, আমি এ বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করব না। কাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না। কেননা প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। আমি তা নিয়ে আলোচনা করব না।

সূত্রঃ ইউএসস্টেটডিপার্টমেন্ট