আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা চীনের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয় ।ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনার প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। চীনা সংবাদমাধ্যম সিএমজি
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া, ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়।
ইউরোপীয় কমিশনের উপ-মুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি।
চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন।
তিনি বলেন,আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিয় বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন ।
প্রতিত্তোরে ইইউ কমিশন বলেছে, ইউরোপীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনও আপস হবে না।
কমিশন প্রেসিডেন্ট ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্বব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও ততই বাড়ছে।
অন্যদিকে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ।
ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপির বলেছেন,ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত মার্কিন শুল্কের এই প্রতিক্রিয়ায় ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়ম-ভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলির নেতাদের সাথেও যোগাযোগ করা উচিত।
বাংলাফ্লো/এসএস
Comments 0