বাংলাফ্লো ডেস্ক

ঢাকা- যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি নিয়মে পরিবর্তনের কথা ভাবছে, যার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) চিপ রপ্তানির বর্তমান সীমাবদ্ধতায় পরিবর্তন আসতে পারে। এই নীতিটি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় জানুয়ারিতে প্রণয়ন করা হয় এবং আগামী ১৫ মে থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ প্রণীত \Framework for Artificial Intelligence Diffusion\ নামক নিয়মটি অনুযায়ী, বিশ্বকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম স্তরে থাকা ১৭টি দেশ এবং তাইওয়ান অবারিতভাবে মার্কিন AI চিপ পেতে পারে। দ্বিতীয় স্তরের প্রায় ১২০টি দেশ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে চিপ পেতে পারে। তৃতীয় স্তরে থাকা চীন, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর জন্য মার্কিন AI চিপ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

তিনটি স্তরের এ ব্যবস্থার পরিবর্তে ট্রাম্প প্রশাসন দেশভিত্তিক সরকারি চুক্তির মাধ্যমে বৈশ্বিক লাইসেন্সিং ব্যবস্থা চালুর কথা ভাবছে। এতে করে মার্কিন চিপ প্রযুক্তি বাণিজ্যিক আলোচনায় আরও কার্যকর কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এই প্রস্তাব এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং পরিবর্তন হতে পারে বলে তিনজন সূত্র জানিয়েছেন। তবে এমন পরিবর্তন হলে, এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একক চুক্তিনির্ভর বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।

সাবেক বাণিজ্য সচিব উইলবার রস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, \স্তরভিত্তিক ব্যবস্থা বাতিলের জন্য কিছু মত রয়েছে। তবে এটি এখনো প্রক্রিয়াধীন।\

বর্তমান নিয়মে, ১,৭০০টি Nvidia H100 চিপের সমপরিমাণ অর্ডারের নিচে হলে কেবল মার্কিন সরকারকে জানানো প্রয়োজন হয়, কোনো লাইসেন্সের দরকার পড়ে না। ট্রাম্প প্রশাসন এই সীমা কমিয়ে ৫০০ চিপ করার কথাও ভাবছে। বর্তমান নিয়মের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই টেক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন Nvidia ও Oracle সরব হয়েছে। Oracle-এর এক নির্বাহী কেন গ্লুক বলেন, \ইসরায়েল ও ইয়েমেনকে একই স্তরে রাখা যুক্তিযুক্ত নয়।\

এছাড়া, সাতজন রিপাবলিকান সিনেটর বাণিজ্য সচিবকে একটি চিঠিতে জানিয়ে বলেছেন, এই সীমাবদ্ধতা দ্বিতীয় স্তরের দেশগুলোকে চীনের \অবিনিয়ন্ত্রিত সস্তা বিকল্প\-এর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই নিয়মে কী পরিবর্তন আসবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। শুধু এটুকুই বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি-নির্ভর বাণিজ্য কৌশলে বড় ধরনের পুনর্বিন্যাসের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স

বাংলাফ্লো/আফি