আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঢাকা: রাশিয়া তিন দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছে ইউক্রেনে।বুধবার মধ্যরাত থেকে ইউক্রেনে হামলা চালানো বন্ধ করেছে বলে রাশিয়ার পক্ষে জানানো হয়েছে। তবে ইউক্রেনের ভাষ্য, রাশিয়া বোমা ছুড়েই চলেছে। কোনো বিরতি নেই।

বৃহস্পতিবার ( ৮ মে )আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও এর মিত্রদের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৮ এপ্রিল এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন পুতিন। তখন তিনি বলেন, ৮, ৯ ও ১০ মে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাস জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।

তবে রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর তিন ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তরে বোমা ছুড়েছে এমন দাবি ইউক্রেন বিমান বাহিনীর।

গত মাসে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হলে কিয়েভ প্রত্যাখ্যান করে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেই ঘোষণাকে নাটক বলে অভিহিত করেন।

পুতিন যে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে এক দিন রাশিয়ার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবস উদযাপনের দিন। ওইদিন অর্থাৎ ৯ মে একটি ঐতিহ্যবাহী সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। এই হাই-প্রোফাইল অনুষ্ঠানে রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে এমন বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। যার মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও ।

সিএনএন লিখেছে, রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির বার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বুধবার রাত পর্যন্ত ইউক্রেনীয় ড্রোনগুলো মস্কোতে হামলা করেছে। এই হামলার ফলে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষকে ১৩টি বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এর চারটি মস্কোতে এবং আর ৯টি দূরে।

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, বুধবার বিকেলে মস্কোর দিকে যাচ্ছিল এমন একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

সিএনএন আরও বলছে, এই মুহূর্তে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া মস্কোর জন্য বিব্রতকর। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন,রাশিয়ার বন্ধু দেশগুলোর প্রতিনিধিরা শুক্রবারের কুচকাওয়াজে যোগ দিতে আসতে শুরু করেছেন ।

এর আগে গত এপ্রিলে ইস্টার সানডে উপলক্ষে ইউক্রেনে ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ইউক্রেন দাবি করে রাশিয়া তা মানেনি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক হামলা শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের বেশকিছু এলাকা দখলেও নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এদিকে চলতি বছরে জানুয়ারিতে নতুন করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কথা বলেন ট্রাম্প। তারই ধারাবাহিকতায় দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তবে এখন পর্যন্ত কার্যকরী সমাধানে আসেনি কেউ।

সূত্র:সিএনএন

বাংলাফ্লো/এসএস