বাংলাফ্লো বিনোদন
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোয় ১৯৬২ সালের ১১ নভেম্বর জন্ম ডেমি মুরের। তাঁর জন্মের আগেই তার বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হয়। ডেমি যখন ৩ মাস বয়সি তখন তার মা আবার বিয়ে করেন। সৎবাবা কাজ করতেন সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন বিভাগে। ফলে এক শহর থেকে আরেক শহরে ছুটতে হয়েছে তাদের।
১৯৮০ সালে সেই সৎবাবাও আত্মহত্যা করেন। দাম্পত্য অশান্তি,অর্থনৈতিক টানাপোড়েনসহ নানা কারণে ডেমির মায়ের মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
২০১৯ সালে নিজের কৈশোর নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দেন ডেমি। জানান, ১৫ বছর বয়সে নিজের বাড়িতেই ধর্ষণের শিকার হন তিনি। ধর্ষণকারী দাবি করেন,তিনি এ জন্য ডেমির মাকে ৫০০ ডলার দিয়েছিলেন। ডেমির আত্মজীবনী ‘ইনসাইড আউট’-এ সবিস্তারে সেই ঘটনা লিখেছেন অভিনেত্রী। বইতে তাঁর মায়ের আত্মহত্যা প্রবণতা সম্পর্কেও লিখেছেন ডেমি। তবে কৈশোর পেরিয়ে ধীরে ধীরে নিজের পথ খুঁজে নেন ,হয়ে ওঠেন বিশ্বের সবচেয়ে পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী।
আশির দশকের গীতিকার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন ডেমি। ১৯৮১ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের সাময়িকী উতে প্রচ্ছদ হন তিনি। এই সাময়িকীর প্রচ্ছদে নগ্ন হয়ে সাড়া ফেলে দেন। পরে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন পোজ দেওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ১৬,কিন্তু তিনি বয়স লুকিয়ে বলেছিলেন ১৮!ক্যারিয়ারের শুরুতেই প্রাপ্তবয়স্কদের সাময়িকীতে নগ্ন হয়ে পোজ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ডেমি মুর। ঠিক এক দশক পর আবার তিনি নগ্ন হয়ে পোজ দেন। ১৯৯১ সালের আগস্টে তাঁকে প্রচ্ছদ করে ভোগ সাময়িকী তখন বাজারে আসে, সারা দুনিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। তবে এবার পোজটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। কারণ, নগ্ন হয়ে ডেমি যখন ফটোশুটে অংশ নেন, তখন তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কেউ এটিকে ‘শালীনতার পরিপন্থী’ হিসেবে আখ্যা দেন, কেউ আবর বলেন শক্তির প্রতীক। বিভিন্ন সাময়িকীতে ছবিটি নিয়ে প্রবল বিতর্ক চলতেই থাকে। তবে ডেমি মুর যে এসব থোড়াই কেয়ার করেন, তা বোঝা যায় পরের বছরই।
১৯৯২ সালে নিভারন হয়ে ভ্যানিটি ফেয়ারের প্রচ্ছদে আবার ডেমি পোজ দিলে এবার তাঁর ছবিতে যুক্ত হয় বডি পেইন্ট শিল্পীর আঁচড়,শৈল্পিক মানের কারণে সেই প্রচ্ছদের প্রশংসা করেন অনেক সমালোচক। ডেমির বয়স এখন ৬২। পিপল সাময়িকীর বিচারে চলতি বছর সবচেয়ে সুন্দর নারীর তকমা পেয়েছেন ডেমি। আগামী মাসের সাময়িকীর প্রচ্ছদও তিনি। এ উপলক্ষে পিপল-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সৌন্দর্যসহ নানা বিষয়ে সবিস্তার কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
‘আপনি একটি ফুলের দিকে তাকিয়ে তার সৌন্দর্য দেখতে পারেন,সৌন্দর্যকে চাইলে এভাবে দেখা যায়। মানুষের ক্ষেত্রে বললে ইতিবাচকতা আর মৌলিকত্বের মধ্যে সৌন্দর্য খুঁজে পাই,’বলেন ডেমি।
তথ্যসূত্র: টাইম সাময়িকী, পিপলডটকম, ভ্যারাইটি,দ্য টক
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0