বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: গাজীপুরে মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সারা দেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও চট্টগ্রাম নগরীতে তা রূপ নেয় সহিংস বিক্ষোভে। সোমবার (৫ মে) সকাল থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও ইসলামী ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন। বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে একাধিক দফায় সহিংস সংঘর্ষ ঘটে এবং যান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটে।

 এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ার শেল ছোড়া হয় এবং অন্তত ১০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।সকাল ৯টা থেকে মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেট, জিইসি, নতুন ব্রিজ, সল্টগোলা ক্রসিং, একে খান গেটসহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ শুরু হয়। ফলে প্রধান প্রধান সড়কে যানজট তৈরি হয় এবং জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়ে।

সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদপুরে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এতে কক্সবাজারগামী আন্তঃনগর ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেন ষোলশহরে আটকে পড়ে। ট্রেনটি প্রায় আড়াই ঘণ্টা থেমে থাকার পর দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে আবার যাত্রা শুরু করে।

এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ছুঁড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং তাদের ষোলশহরের সুন্নিয়া মাদরাসা সড়ক পর্যন্ত ধাওয়া করে। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়।

পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, “সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোয় তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বেলা ১২টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”

একইদিন সকাল ১০টার দিকে সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায়ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়, এতে বন্দরমুখী আমদানি-রপ্তানির যান চলাচল আটকে পড়ে। এছাড়া ইশান মিস্ত্রি হাট এলাকায়ও সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা, তবে পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে তাদের সরিয়ে দেয়।

চট্টগ্রামের বাইরেও হাটহাজারী, চন্দনাইশসহ বিভিন্ন উপজেলায় একইভাবে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল গাজীপুরের হায়দারাবাদ এলাকায় একদল লোক মাওলানা রইস উদ্দিনকে একটি মসজিদে গাছে বেঁধে মারধর করে এবং পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরদিন ভোরে কারাগারে তার মৃত্যু হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের দাবি, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

বাংলাফ্লো/আফি