Logo

তারুণ্য ধরে রাখতে দীপিকার পছন্দ হাইফু থেরাপি

এটি একটি উন্নত প্রযুক্তি, যেখানে ত্বকের গভীরে ছুরি-কাঁচি ছাড়াই কাজ করা হয়। মূলত এটি সৌন্দর্যচর্চার জগতে নন-সার্জিক্যাল ফেসলিফটের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে

দীপিকা পাড়ুকোন

বাংলাফ্লো বিনোদন

ঢাকা: বয়স বাড়লেও তারুণ্য ধরে রাখতে কে না চায়? বার্ধক্যের ছাপ যেন শরীরে না পড়ে, এ স্বপ্নের পিছনে ছুটছেন অনেকেই। বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনও তার ব্যতিক্রম নন। ‘সিংগম এগেইন’ সিনেমার শুটিং চলাকালে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তিনি বেছে নিয়েছেন হাইফু থেরাপি—একটি আধুনিক ও নিরাপদ নন-ইনভেসিভ পদ্ধতি।

হাইফু কী?

'হাইফু' (HIFU) শব্দের পূর্ণরূপ হলো High-Intensity Focused Ultrasound। এটি একটি উন্নত প্রযুক্তি, যেখানে ত্বকের গভীরে ছুরি-কাঁচি ছাড়াই কাজ করা হয়। মূলত এটি সৌন্দর্যচর্চার জগতে নন-সার্জিক্যাল ফেসলিফটের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গ ব্যবহার করে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানো হয়, যার ফলে ত্বক টানটান ও বলিরেখামুক্ত হয়ে ওঠে।

হাইফু কীভাবে কাজ করে?

হাইফু থেরাপিতে উচ্চমাত্রার আল্ট্রাসাউন্ড শক্তি ত্বকের নির্দিষ্ট স্তরে ফোকাস করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে:

কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যা ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে মসৃণ ও টানটান করে।

বলিরেখা ও ঢিলেঢালা চামড়া অনেকটাই কমে আসে।

ত্বকের গভীর স্তর থেকে চামড়া উজ্জ্বল এবং শক্তিশালী হয়।

মুখের পাশাপাশি গলা, বুক, হাত, এমনকি ঊরুতেও এই থেরাপি প্রয়োগ করা যায়।

এই পদ্ধতি একেবারেই নন-ইনভেসিভ, অর্থাৎ কোনো রক্তপাত বা কাটাছেঁড়ার ঝুঁকি নেই।

ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. শরিফা চৌসের মতে, হাইফু থেরাপি বোটক্স বা ফিলারের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। বোটক্স বা ফিলার প্রয়োগে যদি কোনো ভুল হয়, তবে ত্বকের অবাঞ্ছিত পরিবর্তন স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। অথচ হাইফুতে এমন ঝুঁকি কম এবং প্রয়োজনে ফলাফল শুধরানো সম্ভব।

হাইফুর সুবিধাসমূহ:

নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত পদ্ধতি

সার্জারি ছাড়া ত্বক মসৃণ ও টানটান করা যায়

প্রাকৃতিক ফলাফল বজায় থাকে

রিকভারি সময় কম

তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল সার্জারির তুলনায়

দীপিকা কেন হাইফু বেছে নিয়েছেন?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা পাড়ুকোন জানিয়েছেন, তিনি সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কোনো ধরনের সার্জারির পক্ষে নন। তাঁর মতে, সার্জারির মাধ্যমে মুখের স্বাভাবিক কাঠামো বদলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণের পক্ষপাতী দীপিকা কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে হাইফুকে বেছে নিয়েছেন।

বলিউডের এই সফল অভিনেত্রী চল্লিশের কোঠায় পৌঁছেও নিজের সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য ও তারুণ্য রক্ষায় অত্যন্ত সচেতন। তার এই সচেতনতা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

বাংলাফ্লো/আফি

Related Posts বিনোদন

Leave a Comment

Comments 0