বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান দীর্ঘ চার মাস পর উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তারা গুলশানের ফিরোজা ভবনে পৌঁছান। এই প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষত তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসার আশার কথা শুনে।
তারেক রহমানের দেশে কবে ফিরবেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে, যাতে করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে ফিরে জাতির নেতৃত্বে যোগ দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ যিনি বেগম জিয়াকে তাচ্ছিল্য করেছিলেন, তিনিই আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পক্ষান্তরে বেগম জিয়া আজও এখানেই আছেন, জাতির নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত’।
জোবায়দা রহমান কতদিন দেশে আছেন এবং রাজনীতিতে তার প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ১৭ বছর পর তিনি এসেছেন। এটা কেবল শুরু না। তারা তাদের দেশে আসবেন এটাই নরমাল। তার স্বামী সন্তান এখনো বিদেশে। তিনি এখন দেশনেত্রীর সঙ্গে এসেছেন। আবার ফেরত যাবেন। সেখানে সব গুছিয়ে আবার সময়মতো চলে আসবেন।
কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা
ফিরোজায় পৌঁছানোর পর, বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন কাতার সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, কাতার সরকার শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সই প্রদান করেনি, বরং বিমানের খরচ, ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবার সবকিছু নিশ্চিত করেছে। এই সহায়তার জন্য খালেদা জিয়া কাতার সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কাতার সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে, এবং এই মানবিক সহায়তা দেশনেত্রীর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
বিএনপির পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী, র্যাব পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে, যারা খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করেছে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যে সকল সংস্থা মানবিক অবস্থান থেকে সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতি আমাদের ধন্যবাদ।’
বাংলাফ্লো/এসকে
Comments 0