স্পোর্টস ডেস্ক: রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ শেষে মাঠের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তামিম ইকবাল ও অ্যালেক্স হেলসের বিতর্কে। নাটকীয় জয়ের পর দুই দলের খেলোয়াড়রা যখন সৌহার্দ্য বিনিময় করছিলেন, তখন তামিম ইকবালকে দেখা যায় রাগান্বিত অবস্থায় কিছু বলতে। তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন রংপুরের এক কর্মকর্তা। জানা গেছে, ঘটনাটি শুরু হয় রংপুর রাইডার্সের ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের একটি আপত্তিকর আচরণ থেকে। হাত মেলানোর সময় হেলস তামিমকে ব্যঙ্গ করেন। উত্তেজিত তামিম তখন হেলসকে লক্ষ্য করে বলেন, এ রকম করছ কেন? কিছু বলার থাকলে মুখে বলো। বি আ ম্যান। হেলস পাল্টা কিছু বললে তামিম আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার দিকে তেড়ে যেতে চান। তামিমের এই আচরণে স্পষ্ট হারের হতাশার সঙ্গে প্রতিপক্ষের খোঁচা মেজাজ আরও খারাপ করে তোলে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবাল এ বিষয়ে কথা বলেন। যদিও ঘটনার পুরোটা জানা নেই বলে স্বীকার করেন তিনি। নাফিস বলেন, তামিমকে উত্তেজিত হতে দেখেছি, তবে ঘটনা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। আমার মনে হয়, এটা আবেগপ্রবণ একটি প্রতিক্রিয়া। এমন ম্যাচের পর আবেগ কাজ করাটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, তামিমকে নিশ্চয়ই কিছু বলা হয়েছিল, যার প্রতিক্রিয়া ছিল তার উত্তেজনা। তবে আমার মনে হয়, ঘটনাটি তেমন সিরিয়াস কিছু নয়। এ বিষয়ে তামিমের কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও অ্যালেক্স হেলস বেসরকারি এক টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, তামিম আমার কাছে এসে বললেন আমি যদি কিছু বলতে চাই তাহলে যেন সরাসরি বলি। কিন্তু আমি তাকে কিছু বলিনি। ২০২১ সালে বিয়ার পানের কারণে আমি ৩ সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলাম। তিনি সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। এটি সত্যিই লজ্জার। এখনও স্পষ্ট নয়, ম্যাচ শেষে ঠিক কী হয়েছিল যে তামিম এতটা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তবে ম্যাচের উত্তেজনা হয়তো এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ম্যাচটিতে শেষ ওভারে কাইল মায়ার্সের করা ওভারে নুরুল হাসান সোহান ৩০ রান তুলে রংপুর রাইডার্সকে নাটকীয় এক জয় উপহার দেন। তবে হারের হতাশা আর হেলসের আচরণ মিলিয়ে তামিমের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। জেবি