Logo

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি শনাক্ত ও তাদের বক্তব্য শুনেছে আদালত।

ছবি সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি

মাগুরা: আলোচিত আট বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি শনাক্ত ও তাদের বক্তব্য শুনেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে আসামিদের যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বক্তব্য শোনা হয়।

তবে মাগুরা লিগ্যাল এইডের পক্ষ থেকে আইনজীবী সোহেল আহম্মেদকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেতে দেখা যায়। এতদিন আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এ মামলার পরবর্তীতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন সোমবার ধার্য করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার আলোচিত হত্যা মামলাটির আজ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালত তিনজন সাক্ষীকে তলব করেছিলেন। বাদীসহ তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা শোনেন। আগামীকাল এ মামলার ৩, ৪, ৫ নম্বর সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের দুই চিকিৎসকের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

“আজ অষ্টম দিনে ৪০২ ধারায় আসামিদের শনাক্তকরণ ও তাদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। ১২ মে মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করা হবে।”

আইনজীবী বলেন, প্রধান আসামি হিটু শেখ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। যদিও এর আগে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

শ্রীপুর উপজেলার আট বছরের শিশুটি ১ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে আসে। সেখানে সে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।

সবশেষ চিকিৎসারত অবস্থায় ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটি মারা যায়।

এ ঘটনায় শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ, জামাই সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগমের নামে মামলা করেন। পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

১৩ এপ্রিল আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। আসামি রোকেয়া বেগমকে তথ্য গোপন, সজিব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাফ্লো/এসকে

Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0