বিনোদন ডেস্ক: সাত মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী ও জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আলামিনের লাশ। গত সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এবং উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা-পুলিশের তত্ত্বাবধানে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর কাশেম নগর কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের প্রয়োজনে আলামিনের লাশটি উত্তোলন করা হয়।
মৃত্যুর সাত মাস পর আল আমিনের লাশ উত্তোলনের খবরে মর্মাহত তানজিন তিশা। খবরটি শোনার পর মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আল আমিন শুধুমাত্র সহকারী নয়, সে আমার ভাই, যে আমার সঙ্গে পাঁচটি বছর ছিল। যে ছিল নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং সে জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়। সাত মাস পর আল আমিনের লাশ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না। এই কর্মের মাধ্যমে কী লাভ হবে? শুধুমাত্র ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে।
পুরো বিষয়টা আমি জানার পর বিষয়টি আমার কাছে মেনে নেওয়া অনেক কষ্টদায়ক। এর পেছনে যে বা যারা জড়িত, তারা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে, আমি চিন্তা করে খুবই হতবাক বিষয়টি নিয়ে। ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে নিহত হন আল আমিন।
পরে তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই ২০ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ঘটনার চার মাস পর ডিসেম্বরে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। এরপর আল আমিনের বাবা আইয়ুব খলিফার সম্মতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
জেবি