বিনোদন ডেস্ক: ঢালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনা রহমানকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসি প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে। পরে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তার লাশ। জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার লাশ এফডিসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদ জোহর এফডিসি প্রাঙণে হবে প্রথম জানাজা। দ্বিতীয় জানাজা তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। এরপর বনানী কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে। টানা ১০ দিন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে ছিলেন অঞ্জনা রহমান। আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় গত বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেন। অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এ ছবির পর তাকে আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হয়নি। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে অঞ্জনা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আন্তর্জাতিক পুরস্কার, একাধিক জাতীয় স্বর্ণপদক ও বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন কয়েকবার। নৃত্যশিল্পী হিসেবেও অঞ্জনা পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। অঞ্জনা বিয়ে করেন পরিচালক আজিজুর রহমান বুলিকে। তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। জেবি