নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে ঋণখেলাপির ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম টানতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও বড় ছাড় দিয়েছে। নতুন নির্দেশনায় এক্সিট সুবিধার শর্ত শিথিল করা হয়েছে, যাতে ঋণখেলাপিরা আগের চেয়ে কম ডাউন পেমেন্ট দিয়েই এ সুবিধা নিতে পারেন।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, এখন থেকে বিদ্যমান ঋণের ন্যূনতম ৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নগদ পরিশোধ করলেই এক্সিট সুবিধার জন্য আবেদন করা যাবে, যা আগে ছিল ১০ শতাংশ। এছাড়া, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের ক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকার পরিবর্তে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের এক্সিট সুবিধা অনুমোদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
তবে এ সুবিধা কেবলমাত্র নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ঋণখেলাপি হওয়া উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযোজ্য। অন্য কোনো কারণে খেলাপি হলে এ সুবিধা পাওয়া যাবে না।
নতুন সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ যদি নির্ধারিত কিস্তি অনুযায়ী পরিশোধ না হয় এবং তা খেলাপিতে পরিণত হয়, তাহলে কোনো অবস্থাতেই তা পুনঃতফশিলীকরণ বা পুনর্গঠন করা যাবে না। ব্যর্থ হলে ঋণ আদায়ের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ৮ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সময় প্রথমবার এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তবে তাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমার পরিবর্তে আরও বেড়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ঋণগ্রহীতার আবেদন পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।