স্পোর্টস ডেস্ক: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পারফরম্যান্সে ভাটা পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ব্যতিক্রম। ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নের দিকে যতোই এগিয়ে যাচ্ছেন ততোই যেন আরও ক্ষুরধার হচ্ছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সেও তাই একের পর এক গোল করে যাচ্ছেন ‘সিআর সেভেন’।
দীর্ঘ ২৩ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে ৯২৭ গোল করেছেন রোনালদো। এর মধ্যে ৩০ বছর পেরিয়েই সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন তিনি। গতকাল ইরানি ক্লাব এস্তেগলালের বিপক্ষে করা পেনাল্টির গোলটি ৪৬৪তম। অথচ, ত্রিশের পর ফুটবলারদের ‘বুড়োদের’ কাতারে রাখা হয়।
বাকি ৪৬৩ গোল করেছেন ত্রিশ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে।
২০০২ সালে স্পোর্তিং সিপির হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই অদম্য গতিতে ছুটছেন রোনালদো। এই অদম্য ইচ্ছাশক্তির জন্যই ‘বুড়ো’ বয়সেও তার ওপর আস্থা রাখছেন কোচ রবার্তো মার্তিনেজ। রোনালদোকে এখনও পর্তুগাল দলে খেলানোর যুক্তি হিসেবে এমনটিই জানিয়েছেন মার্তিনেজ।
‘কোচেস ভয়েসকে’ সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়টি রোনালদোর তিনটি মূল গুণের কথা জানিয়েছেন মার্তিনেজ। পর্তুগাল কোচ বলেছেন, যখন রোনালদোর সম্পর্কে কথা বলি তখন তাকে পর্যালোচনা করতে তিনটি মূল গুণের কথা মাথায় রাখি। তার প্রতিভা তর্কাতীত; ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন। তার অভিজ্ঞতা অদ্বিতীয়; ছয়টি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা একমাত্র ফুটবলার সে। সঙ্গে দুই শর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ফুটবলার।
রোনালদোর তৃতীয় গুণ প্রতিশ্রুতি ও প্যাশনকে সবার শীর্ষে রেখেছেন মার্তিনেজ। তিনি বলেছেন, তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে প্রতিশ্রুতি। একই প্যাশনে সে পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করেই যাচ্ছে, যা পুরো দলকে অনুপ্রাণিত করে। আগে কি করেছে সেজন্য আজকের দলে নয়, সে ধারাবাহিকভাবে কি করছে তার জন্য দলে। গত দুই বছরে ২১ ম্যাচে ১৭ গোল নিয়ে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার সে।
বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ রয়েছে পর্তুগালের। সেই আক্ষেপ ঘোচানোর লক্ষ্যেই দলের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্তিনেজ। তিনি বলেছেন, পর্তুগালের বড় স্বপ্ন বিশ্বকাপ জয়। একমাত্র এই ট্রফিই এখন মিসিং। এটি চাপ এড়ানোর প্রশ্নে নয়, উচ্চাকাঙ্খার পূর্বানুমানে। বর্তমান সাফল্য এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভারসাম্য খোঁজার চেষ্টা করছি আমরা।
জেবি