Logo

পা ফেলার জায়গা নেই, জমজমাট ঈদ মার্কেট

ঈদের আগে প্রায় দশদিন বাকি থাকলেও অনেকেই ঢাকা ছাড়বেন ২৬ তারিখেই। সে হিসাবে তারা আছেন মাত্র ৪ বা ৫ দিন। ফলে মধ্য রমজানেই এবার ঈদ সামনে রেখে জমজমাট কেনাকাটা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিপণিবিতানে দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আগে প্রায় দশদিন বাকি থাকলেও অনেকেই ঢাকা ছাড়বেন ২৬ তারিখেই। সে হিসাবে তারা আছেন মাত্র ৪ বা ৫ দিন। ফলে মধ্য রমজানেই এবার ঈদ সামনে রেখে জমজমাট কেনাকাটা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিপণিবিতানে দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।

গতকার শুক্রবার (২১ মার্চ) মৌচাক ও এর আশপাশের মার্কেটগুলো ঘুরে প্রচুর মানুষকে নানান পণ্য কিনতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত শুক্রবারই সর্বোচ্চ ভিড় ছিল। দিন যতো যাচ্ছে, কেনাকাটাও ততোই বাড়ছে। এর পাশাপাশি মৌচাক-মালিবাগ এলাকার ফুটপাতেও কেনাবেচা জমেছে। ক্রেতা আর বিক্রেতাদের চাপে এ এলাকায় যেন পা ফেলার জায়গা নেই।

শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে মৌচাক, আনারকলি, ফরচুন ও সেন্ট্রাল পয়েন্ট মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে- দুপুরের পর থেকে প্রচুর ক্রেতা এসেছেন। দোকানগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে মুখর। অনেক দোকানে ক্রেতার চাপে দম ফেলার ফুরসৎ পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।

আনারকলি মার্কেটে সুমি ফ্যাশনের কর্ণধার ফরিদ উদ্দিন বলেন, আজ আর কাল (শুক্র-শনিবার) এবারের ঈদের সর্বোচ্চ কেনাকাটা হবে। কারণ আগামী যে শুক্রবার আছে, তার আগে অনেকেই বাড়ি চলে যাবে। দুপুর থেকে আজ মার্কেটে প্রচুর ক্রেতা।

বিক্রি কেমন হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার রোজার শুরুতে কিছুটা ঢিলেঢালা ছিল। এখন অনেক বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে মৌচাক মার্কেটে দিলু রোড থেকে আসা ক্রেতা ফিরোজ হোসেন ও তার পরিবার দুপুর থেকে কেনাকাটা করেছেন। বিকেলে তিনি বলেন, টার্গেট ছিল আজ-কালকের মধ্যে পুরো কেনাকাটা শেষ করার। এজন্য পুরো পরিবার নিয়ে এসেছি।

তিনি বলেন, ক্রেতার ভিড় বেশি। বিক্রেতারা দাম চাচ্ছেন বেশি। অনেক কিছুর দাম বেশি মনে হয়েছে। পোশাক থেকে শুরু করে প্রসাধনী সব কিছুর দামই বেড়েছে।

এদিকে এ বছর পোশাকের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় সার্বিক ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে জানিয়ে উর্মি ফ্যাশনের মহিউদ্দিন বলেন, দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক থাকলেও বেচাকেনা কম হচ্ছে। গত বছরের এমন সময়ের তুলনায় এ বছর ৩০ শতাংশ কম বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, পাইকারি পর্যায়ে পোশাকের দাম বেড়েছে। এ বছর পোশাক পাইকারি কিনতে ১৫ শতাংশ বেশি দাম দিতে হয়েছে। কিন্তু ক্রেতারা গত বছরের দামেই কেনার চেষ্টা করছেন। সেজন্য অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন।

এদিকে মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় ফুটপাতেও প্রচুর দোকান বসেছে। সেগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

জেবি

Related Posts বাণিজ্য