নিজস্ব প্রতিবেদক: ১০ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এ কাজ শেষ হবে। এরপর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এবারের শুমারির আওতা ব্যাপক হারে বাড়ানো হয়েছে। এদিকে 11ে পরিচালিত অর্থনৈতিক শুমারি থেকে সঠিক উপাত্ত পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। অভিযোগ ওঠেছে কিছু বড় শিল্পকারখানা জরিপকর্মীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। তারা আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য দিতে গড়িমসি করছে। কিছু প্রতিষ্ঠান প্রকৃত পরিমাণের তুলনায় আয় অনেক কম দেখাচ্ছে। কিছু প্রতিষ্ঠানে গণনাকর্মীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার সাভারে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় তথ্য সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা গণমাধ্যমকর্মীদের এসব সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জোনাল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন ও গণনাকর্মী তছলিম হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, এ নিয়ে ওই কারখানায় চার দিন এসেছেন তারা। আনোয়ার হোসেন জানান, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক তথ্য দিলেও আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে চায় না কিছু কারখানার কর্তৃপক্ষ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আয় কম এবং ব্যয় বেশি দেখানো হয়। তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর পক্ষ থেকে তথ্য সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সারা দেশের সদস্য কারখানাগুলোতে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছে। ওই পত্রের হার্ডকপি বিবিএসকেও সরবরাহ করা হয়। সরবরাহ করা কপি দেখিয়ে তথ্য সহযোগিতা পেতে চ্যালেঞ্জের কথা জানান বিবিএসের কর্মকর্তারা। অর্থনেতিক কর্মকাণ্ডে থাকা ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠান এমনকি ভ্যানগাড়ি করে যিনি সবজি বিক্রি করেন, তাকেও শুমারির আওতায় আনা হচ্ছে। মোট ৭০টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ৯০ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানা এবং সে অনুযায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাতে বিবিএস ১০ বছর পর পর অর্থনৈতিক শুমারি করে থাকে।