বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমের গ্রেফতার প্রক্রিয়া সঠিক হয় নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ওনাকে (মেঘনা আলম) বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটি সঠিক হয়নি। উনার যদি কোনো অপরাধ থাকে সেই অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, আমরা স্বীকার করছি গ্রেফতারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি। গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি মানে ওনার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের আলামত বা অভিযোগ নেই সেটি নয়, সেটির ব্যাপারে করণীয় কী আছে সে বিষয়ে অচিরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আরও জানান, রাজনৈতিকভাবে দায়ের হওয়া ৭ হাজার ১৮৪টি হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
এছাড়া শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার চার্জশিট আজ দাখিল হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে এ মামলার বিচার কাজ শেষ হবে।
এ দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, এটা করতে পারলে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
আসিফ নজরুল বলেন, দুই বিলিয়ন ডলার চুরির পরিকল্পনা করা হলেও হ্যাকাররা শেষ পর্যন্ত হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ৮৮ মিলিয়ন ডলার চুরি করতে সক্ষম হয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার পরিকল্পনা করা হয়।
তিনি বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের যারা জড়িত তাদের বাঁচানোর নির্দেশনা দিয়েছিল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার। সে সময় প্রাথমিক রিপোর্টে যাদের নাম এসেছিল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা জানতে চাওয়া হবে। যারা জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মডেল মেঘনা আলমকে গত বুধবার ঢাকায় তাঁর বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। আটকের দুদিন পর আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন আদালত।
আট মাস আগে সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে মডেল ও উদ্যোক্তা মেঘনা আলমের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের সখ্যতা বাড়তে থাকে। মাঝেমধ্যে মেঘনার ফ্ল্যাটেও যেতেন এই সৌদি কূটনীতিক।
মেঘনার পরিবারের দাবি, পরিচয়ের মাত্র চার মাস পর গত ডিসেম্বরে গোপনে বাগদানও সারেন তাঁরা। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি মেঘনার পরিবার।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0