বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: এ বছর ১৫ থেকে ২০% কম পশু কোরবানি হওয়া এবং লাম্পি স্কিন রোগের কারণে চামড়া সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান দাবি করেছেন, সরকারের নজরদারির ফলে এবার চামড়া নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কম।
চামড়ার কাঙ্ক্ষিত মূল্য নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছে আড়তদার আর মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দেরিতে লবণ দেওয়ায় অনেকেই কোরবানির পশুর চামড়া থেকে কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি।
সোমবার সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা ছিল গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়াসহ ১ কোটি ৫ লাখ পিছ চামড়া সংরক্ষণের। কিন্তু বর্তমানে আমরা সারাদেশে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কোরবানি কম হয়েছে, তাই হয়ত ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পিছ চামড়া আমরা এবার সংরক্ষণ করব।’
এদিকে কোরবানি ঈদের দুইদিন পর সোমবার সকালে সাভারের চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শনে গিয়ে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান দাবি করেন, চামড়ায় দেরিতে লবণ দেওয়ায় অনেকেই কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি। তবে সরকার তৎপর ছিল বলেই এ বছর কম সংখ্যক চামড়া নষ্ট হয়েছে।
আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘কিছু জায়গায় লবণ চামড়াতে লাগাতে গ্যাপের কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে। আর বাকি চামড়া এখানে এসেছে।’
তিন দিনে ১১ লাখ ২৮ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকায় ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং সাভারের শিল্প নগরীতে ৩ লাখ ৭৮ হাজার পিস।
ট্যানারি মালিকরা আশঙ্কা করছেন, ল্যাম্পি স্কিন রোগের কারণে চলতি বছর প্রায় ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হতে পারে। এছাড়া, নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে ত্রুটিমুক্ত হচ্ছেনা কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ বলেন, ‘এ বছর কিন্তু ৩০ ভাগ চামড়া একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। এখানে কিন্তু ট্যানারি মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা যখন কেনাকাটা শুরু করব, সেই চামড়া বাদ দিয়েই কিন্তু কিনব। এটা একটা মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এই গবাদিপশুকে টিকার আওতায় আনেনি বলেই এই রোগটা শুরু হয়েছে।’
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0