Logo

লেবেল উঠানোর পরে পাওয়া গেল কমদামী আরেক ইনজেকশনের নাম!

এই প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে 'মুন স্পেশালাইজড হসপিটাল' নামে কুমিল্লা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

লেবেল উঠানোর পর পাওয়া গেল আরেক ইনজেকশনের নাম। ছবি: সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি

কুমিল্লা: হাড়ের দুর্বলতার কারণে চিকিৎসাধীন রোগীকে চিকিৎসক একটি ইনজেকশন প্রয়োগের পরামর্শ দেন প্রেসক্রিপশনে। মূল্যবান সেই ইনজেকশন রোগীর কাছ থেকে ৩৪ হাজারের বেশি টাকা নিয়ে একটি প্রয়োগ করেন চিকিৎসকের সহকারী।

কিন্তু ইনজেকশন প্রয়োগের পর পরই বোতলের গায়ে লাগানো লেবেলটি খুলে ভেতরে আরেক ওষুধের লেবেল খুঁজে পান রোগী। বাজার মূল্য বিবেচনায় ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধের তুলনায় যার দাম এক-সপ্তমাংশ।

এমন প্রতারণার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা শহরের মুন স্পেশালাইজড হসপিটাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

ভুক্তভোগী রোগীর মেয়ে ফারজানা আক্তার বিথী গণমাধ্যমকে বলেন, ছয় মাস ধরে তার মার চিকিৎসা করছেন এই হাসপাতালে কর্মরত ডা. মোঃ আশরাফ উল মতিন। গত শনিবার হাড়ের দুর্বলতার জন্য রোগীকে আকলাস্টা (Aclasta 5mg) নামের একটি ইনজেকশন প্রেসক্রাইব করেন তিনি।

ইনজেকশনটির বাজারদর ৩৮ হাজার টাকা বলেও জানান তিনি।

তবে এই ইনজেকশনের বাজারদর ৩৬ থেকে ৩৮ হাজারের মধ্যে হলেও  ডা. আশরাফের সহকারী বিজয় সরকার রোগীর পরিবারকে ৩৪ হাজার ৫০০ টাকায় ইনজেকশনটি এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার রোগীকে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন বিজয়।

ইনজেকশন প্রয়োগের পর ফারজানা ইনজেকশনের বোতলটি নিয়ে তার লেবেল পরীক্ষা করেন। আকলাস্টার লেবেলটি টেনে সরাতেই ভেসে ওঠে জোলেরন (Xoleron) নামের আরেক ওষুধের নাম।

কুমিল্লার বিভিন্ন ফার্মেসিতে এই ইনজেকশন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডা. আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতালে ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে এই 'অসদুপায়' অবলম্বন করেছেন বিজয়।

সহকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মো: বশির আহমেদ বলেন, 'আমার কাছে এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

বাংলাফ্লো/এসবি

Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0