বাংলাফ্লো বিনোদন

ঢাকাঃ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইনফ্লুয়েন্সার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি এখন টক অফ দ্যা টাউন ।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খারাপ দিক নিয়ে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাচ্ছে একের পর এক দুর্দান্ত মুভি। কিছুদিন আগেই মুক্তি পাওয়া ‘সিটিআরএল’বা ‘কন্ট্রোল’দর্শকমহলে ব্যাপক সারা ফেলেছিল। এবার এলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইনফ্লয়েন্সারদের যাপনের কাহিনী নিয়ে নির্মিত মুভি ‘লগআউট’।

‘হাম্পটি ডাম্পটি স্যাট অন আ ওয়াল, হাম্পটি ডাম্পটি হ্যাড আ...।’ মুঠোফোনে আসা এমনই অসমাপ্ত বার্তার পরই শোনা যায় পড়ে যাওয়ার শব্দ। ছাদের ওপর থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় একজনকে। এভাবেই ‘গ্রেট ফল’ দিয়ে শুরু হয় ‘লগআউট’ সিনেমাটি।

সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন- বাবিল খান,রসিকা দুগ্গল,গন্ধর্ব দেওয়ান ও নিমিশা নায়ার। প্রধান চরিত্রে থাকা প্রত্যুষ দুয়া একজন ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লয়েন্সার যিনি ‘প্যাটম্যান’ নামে জনপ্রিয়। সাড়ে ৯ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার/অনুসারী রয়েছে তার। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সে কাজ করার কারণে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে সব সময় দর্শকের কাছে প্রাসঙ্গিক থাকাই তার একমাত্র লক্ষ্য। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে তার একমাত্র ধ্যান–ধারণা,কীভাবে ভাইরাল কনটেন্ট বানানোর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।

একদিন প্রত্যুষ দুয়ার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একটি ভাইরাল ভিডিও আপলোড করে অনুসারীর সংখ্যার দিক থেকে তার কাছাকাছি চলে আসে

১ কোটি মানুষ যাকে আগে অনুসরণ করবে,তার কাছে চলে যাবে ব্র্যান্ডের চুক্তি তাই ‘কিছু একটা করা’র জন্য প্রত্যুষকে চাপ দিতে থাকে তার ম্যানেজার জেডি।

রাতে মদ্যপ অবস্থায় লাইভ ডিডিও করে প্রত্যুষ। সকালে উঠে সে যখন দেখতে যায় তার অনুসারী কত বাড়ল,তখন আর ফোন খুঁজে পায় না। সারা ঘর খোঁজার পর বুঝতে পারে যে সে ফোন হারিয়ে ফেলেছে। যে ফোন ছাড়া প্রত্যুষ একমুহূর্তও থাকতে পারে না, সেই ফোন হারিয়ে দিশাহারা হয়ে যায় সে।

প্রত্যুষ নিজের নম্বরে কল দিলে এক নারী ফোন ধরে। আর একটা পর্যায়ে অজান্তেই সেই নারীর কাছে নিজের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয় সে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই বুঝতে পারে যে কী ভয়ংকর ভুল সে করে ফেলেছে। একের পর এক মারাত্মক সব ঘটনা তাকে দাঁড় করিয়ে দেয় খাদের মুখে। প্রত্যুষ কি আর ফিরে আসতে পারে সেখান থেকে? জানতে হলে দেখতে হবে অমিত গোলানি নির্মিত ও বিশ্বপতি সরকারের চিত্রনাট্যে ‘লগআউট’। ১৮ এপ্রিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সারদের জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়।। ‘প্রত্যুষ’ চরিত্রের বাবিল খানের অসাধারণ অভিনয়ের জোরে দর্শকের মনে হতে পারে এই গল্পটি তার নিজেরই যাপিত জীবনের ঘটনা।

‘লগআউট’ সিনেমায় দেখা যায় ইনফ্লুয়েন্সারদের যাপনের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া এতটাই মিশে গেছে যে তাঁরা চাইলেও স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারেন না। সবকিছুর আগে চিন্তা করতে হয়, অনুসারীরা সেটা কীভাবে নেবেন? গ্রহণযোগ্য থাকবে তো দর্শকের কাছে? আর এ জন্য মিথ্যাচার করতেও ছাড়েন না তাঁরা। দর্শকেরা যা দেখতে চাইবেন,সেভাবেই কনটেন্ট বানাতে হবে। নিজেকে সেভাবে তুলে ধরতে হবে ক্যামেরার সামনে। সিনেমাটি বেশ সময়োপযোগী কারণ প্রযুক্তিতে বুঁদ এই প্রজন্মের মাঝে প্রযুক্তির ভয়াবহতা ও অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরাটা জরুরী।

বাংলাফ্লো/আফি