Logo

এনজিওকর্মীকে বানানো হলো ছাত্রলীগ নেতা, দুই দিনের রিমান্ড শেষে জেলে প্রেরণ

null

নিজস্ব প্রতিবেদক : নেত্রকোনায় এক এনজিওকর্মীকে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বানিয়ে আটকের অভিযোগ ওঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আটক এনজিও কর্মীর নাম চিন্ময় সরকার (২৭)। তিনি নেত্রকোনা শহরের নাগড়ার বাড়ইপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাবুল সরকারের ছেলে। চিন্ময় স্বাবলম্বী নামের একটি এনজিওতে চাকরি করেন। তার কর্মস্থল নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায়। জানা গেছে, নেত্রকোনা শহরে গত ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) ঝটিকা মিছিল করে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ দিন সকালে শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়ে ছোটবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে যায়। এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বানিয়ে রোববার (৫ জানুয়ারি) আদালতে প্রেরণ করে চিন্ময় সরকারসহ প্রত্যেককে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায়। আদালত প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ড দেয়। এদিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে মঙগলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণে আদেশ দেয়। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল বাশার বলেন চিন্ময় সরকারসহ অন্য আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। থানাসুত্রে জানা গেছে,গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই পুলিশের এই কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। এদিকে পুলিশ মামলার এজাহারে চিন্ময় সরকার নিষিদ্ধঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দাবি করেছে। কিন্তু জেলা ছাত্রলীগের কোন কমিটির কাগজে চিন্ময় সরকারের নাম পাওয়া যায়নি। এমনকি সদস্য হিসেবেও ঐ কমিটিতে তার নাম নেই। ভিডিও ফুটেজেও চিন্ময় সরকার যে ছিল তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে চিন্ময় সরকারের পিতা বাবুল সরকার বলেন, ‘আমার ছেলে জয় ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে মোহনগঞ্জে অফিস করে বাসায় আসে। সেদিন রাতে সে বাসাতেই ছিল। ছাত্রলীগের মিছিল হয়েছে সকাল সাতটার দিকে। এ সময় আমার ছেলে বাসায় ঘুমে ছিল।’ তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে শহরের ছোটবাজারে মোবাইল ফোন ঠিক করতে গেলে পুলিশ আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে থানা থেকে মোবাইল ফোনে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়। আমার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি আমার ছেলের নি:শর্ত মুক্তি চাই। চিন্ময় সরকার যে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নন এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বাংলা ফ্লোকে বলেন, আমি আপনার কাছে ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য নই। আমি ব্যাখ্যা দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেব। এরপর তিনি ফোন কেটে দেন। বারবার মোবাইলে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নেত্রকোনার পুলিশ সুপার সায়েম মাহমুদ (পিপিএম) বলেন, আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনেছি সে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।’ কিন্তু ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে চিন্ময় সরকার সহ-সভাপতি আছেন। তার কী কোনো কাগজপত্র পুলিশের কাছে আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি জানান, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। জেবি

Related Posts বাংলাদেশ