বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঈদে দীর্ঘ ছুটি: ঢাকা ছাড়বে প্রায় দুই কোটি মানুষ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহত্তর ঢাকা ছাড়তে চলেছে প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী এবং ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দা।

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহত্তর ঢাকা ছাড়তে চলেছে প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী এবং ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দা।

ঈদে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ৬০ শতাংশ সড়কপথে, বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাত্রা করবেন। এ হিসাবে, এবার সড়কপথে ঈদযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৩ লাখ ৬২ হাজার, আর নৌপথে যাত্রা করতে পারেন ৬৯ লাখ ৮ হাজার মানুষ।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) ঈদ-পূর্ব যৌথ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পর্যবেক্ষণের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। সরকারি বিভিন্ন প্রতিবেদন, গবেষক, সামাজিক সংগঠন প্রতিনিধি এবং পরিবহনবিষয়ক সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যাগত ধারণা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় বেশি সংখ্যক মানুষ বাড়ি ফিরবেন। আগে ঈদের ছুটি সাধারণত তিন থেকে চার দিন হতো, কিন্তু এবার ঈদুল ফিতরের ছুটি ৯ দিন। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের মতো জনবহুল শিল্প ও বাণিজ্যিক শহরের ৫০ শতাংশ এবং জেলার অন্যান্য স্থানের ২০ শতাংশ মানুষ বাড়ি ফিরবেন। এ হিসাবে, ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার (জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ) মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবেন। উল্লেখিত পাঁচ জেলার অন্যান্য স্থান থেকে আরও ২০ লাখ ২০ হাজার (জনসংখ্যার ২০ শতাংশ) মানুষ যাত্রা করবেন।

ঈদযাত্রায় এবারও সড়কে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সরকার নির্বিঘ্ন ঈদ যাতায়াতের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সব মহলকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা কার্যকর হলে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও এই তথ্য শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে, তবে বিপুল সংখ্যক মানুষকে মাত্র এক সপ্তাহে সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা সড়ক পরিবহন খাতের নেই। দূরপাল্লার অনেক সড়কের কিছু অংশ এখনও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সারাদেশে সড়কে পাঁচ শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক চিহ্নিত করা হয়েছে।