Logo

দরপতনের পাল্লা ভারীর পরেও বাড়লো সূচক-লেনদেন

আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতয় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (৬ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এরপরও বাজারটিতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতয় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (৬ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এরপরও বাজারটিতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যাক প্রতিষ্ঠান। ফলে বাজারটিতে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দুই বাজারেই ভালো, মন্দ, মাঝারি সব শ্রেণিরই অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে চার গ্রুপে ভাগ করা হয়। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি থাকে ‘এন’ গ্রুপে। তালিকাভুক্তির পর এক আর্থিক বছর পার হলে কোম্পানিগুলো ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’ গ্রুপে বিভক্ত হয়।

এর মধ্যে ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানির স্থান হয় ‘এ’ গ্রুপে। ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানি থাকে ‘বি’ গ্রুপে। এছাড়া লভ্যাংশ না দিতে পারা কোম্পানির স্থান হয় ‘জেড’ গ্রুপে। জেড গ্রুপের কোম্পানিকে শেয়ারবাজারের পচা কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ‘এ’ গ্রুপের ২১৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯০টির এবং ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘বি’ গ্রুপের ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এছাড়া কমেছে ৩৭টির এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে সাতটির দাম বেড়েছে। এছাড়া সাতটির কমেছে এবং ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘জেড’ গ্রুপের ৯৯ কোম্পানির মধ্যে ৩৬টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪২টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে শেয়ারবাজারে ‘এন’ গ্রুপে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।

সব শ্রেণির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে ১৩৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৯টির। এছাড়া ৮৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় সাত পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ২০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক দুই পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৩ কোটি তিন লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। ৯ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলহাজ টেক্সটাইল।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-হাক্কানী পাল্প, খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আইএফআইসি ব্যাংক, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এবং বিচ হ্যাচারি।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে তিন পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৫টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় তিন কোটি ৬১ লাখ টাকা।

জেবি

Related Posts বাণিজ্য