বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডিএমপি প্রধানের ‘ধর্ষণ’ সংক্রান্ত বক্তব্যের নিন্দা জানালো প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর

‘ধর্ষণ’ শব্দটির পরিবর্তে ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নারী নিপীড়ন’ ব্যবহারের অনুরোধ সংক্রান্ত মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর ‘ধর্ষণ’ শব্দটির পরিবর্তে ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নারী নিপীড়ন’ ব্যবহারের অনুরোধ সংক্রান্ত মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ধর্ষণ যে কোনো বয়সের ব্যক্তির বিরুদ্ধেই সংঘটিত হোক—সে আট বছরের শিশু হোক বা ৮০ বছরের বৃদ্ধা, এটি একটি গুরুতর অপরাধ এবং একে তার যথাযথ নামেই ডাকতে হবে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এ ধরনের জঘন্য অপরাধকে তার প্রকৃত নামেই অভিহিত করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না।”

শনিবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার ভবনে ‘হেল্প’ (হ্যারেসমেন্ট এলিমিনেশন লিটারেসি প্রোগ্রাম) নামে গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে চালু করা একটি অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী এ অনুরোধ করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি দুটি শব্দ খুব অপছন্দ করি। আমি অনুরোধ করব, এই দুটি শব্দ ব্যবহার করবেন না। একটি ভুলে গেছি, অন্যটি হল—ধর্ষণ শব্দটি ব্যবহার করবেন না, প্লিজ। আমাদের শুনতে খুব খারাপ লাগে। আপনারা ‘নারী নির্যাতন’ বলবেন, ‘নারী নিপীড়ন’ বলবেন। আমাদের যে আইনটি আছে, সেটিও ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইন’। এখানেও কোনো এ ধরনের শব্দ... মূল হেডিং ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইন’। তাই যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।”

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে এক শিশুর মৃত্যু এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ‘হেল্প’ অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও সম্প্রতি ‘মব’ তৈরি করে অপরাধের কয়েকটি ঘটনা এবং গুলি করে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো ঘটনার ভিডিও প্রচার না করতে অনুরোধ করেছেন, যা দেখলে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে।