বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে খুচরা বিক্রয় ব্যাহত হওয়ায় ২০২৪ সালে বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) এর মুনাফা হ্রাস পেয়েছে। বছরে ২৬ শতাংশ কমে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯.৫৭ কোটি টাকা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক তথ্য অনুসারে, কোম্পানিটি গত বছর শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২১.৬২ টাকা, যা ২০২৩ সালে ছিল ২৯.৩১ টাকা।
ডিএসইতে জুতা প্রস্তুতকারকদের শেয়ারের দাম ০.১৫ শতাংশ কমে ৭৯৮.৮ টাকায় আটকে গেছে। একই সময়ে এর শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং নগদ প্রবাহ ৯৩.৮০ টাকা থেকে কমে ৭১.৪২ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এ দিকে বাটা কোম্পানির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাটার বোর্ড সভায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা ২০২৪ সালের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেন। পূর্বে ঘোষিত ৩৪০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের সাথে মিলিত হয়ে বছরের মোট পরিশোধ ৪৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিবৃতিতে বাটা জানায়, ‘গত বছরটি বাংলাদেশী গ্রাহকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বছর ছিল। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি হওয়ায় ভোক্তা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল। এছাড়াও দেশব্যাপী অস্থিরতার কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে আমাদের প্রায় অর্ধেক দোকান মাঝেমধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।’
চলমান এই বিপর্যয় সত্ত্বেও বাটা বলেছে, তারা পরিচালনাগত দক্ষতা এবং গ্রাহকদের সম্পৃক্ততার উপর মনোযোগ দিয়েছে, যা সংকট মোকাবেলা করে আগামী বছরের মধ্যে সম্ভাব্য পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ, ২০২৫ এর তথ্য অনুযায়ী স্পন্সর এবং পরিচালকদের হাতে কোম্পানির ৭০ শতাংশ শেয়ার ছিল। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ১৯.৩৮ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ১.৩০ শতাংশ এবং সাধারণ জনগণের হাতে ৯.৩২ শতাংশ শেয়ার ছিল।
১৯৬২ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে বাটা। বর্তমানে দেশে ২৬১টি খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করে কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ৭০টিরও বেশি দেশে এর উপস্থিতি রয়েছে। যেখানে ৫,০০০টিরও বেশি খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র এবং ২৭টি কারখানা রয়েছে।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0