বাংলাফ্লো স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: ২০২৫ নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শেষ টিকিটের লড়াইটা এখন বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে দুটি দল অবশ্য আজ একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে না। তবে ম|ূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার জন্য বাংলাদেশকে শুধু মাঠের লড়াই না বরং হিসেব কসতে হবে সমীকরণেরও।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দিনে বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপে যেতে বাংলাদেশকে পাকিস্থানের বিপক্ষে জয়ী হতেই হবে।

পাকিস্থানের লাহোরে সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু ম্যাচে বাংলাদেশ জিততে পারলে আট পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেবে।

তখন বেলা তিনটায় শুরু গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ওয়েস্ট ইন্ডিজ–থাইল্যান্ড ম্যাচ হয়ে পড়বে শুধুই আনুষ্ঠানিকতায়।

কারণ, জিতলেও বাংলাদেশের দুই পয়েন্ট পেছনেই থাকবে ক্যারিবীয়রা।

নারী বিশ্বকাপের শুরুটা হয়েছিল ছয় দল দিয়ে, লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে বাকি থাকা দুটি টিকিট। প্রতি দলের ম্যাচ পাঁচটি করে। এর মধ্যে প্রথম চারটিতে জিতে একটি টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে পাকিস্তান।

এবারের নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিল অনুসারে সবচেয়ে দুর্বল দল হচ্ছে থাইল্যান্ড। চারটি ম্যাচের সবকটাতেই হেরেছে থাইল্যান্ড। বিপরীতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তানও জিতেছে চার ম্যাচের সবকটিতেই। বোঝাই যাচ্ছে, প্রতিপক্ষ বিবেচনায় বাংলাদেশের জয়ের কাজটা অনেকটাই কঠিন।

নিগার সুলতানার দলের স্বস্তির দিক হলো পয়েন্ট তালিকা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দুই নাম্বারে। বাংলাদেশের মোট চার ম্যাচে ছয় পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে। আর ছয় দলের মধ্যে পাঁচে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট চার ম্যাচে ছয়।

বাংলাদেশ পয়েন্টের পাশাপাশি আরেকটি জায়গাতেও অনেকটা এগিয়ে। নিগার সুলতানাদের রান রেট +১.০৩৩, ক্যারিবীয় মেয়েদের –০.২৮৩।

বাংলাদেশ ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হলে কী হবে?

ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হলেও বাংলাদেশ ঠিকই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারবে। ম্যাচ পণ্ড মানেই পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়া। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে সাত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও পয়েন্ট হবে ছয়। অর্থাৎ এক পয়েন্টে পিছিয়েই থাকবে।

তবে বৃষ্টিতে ম্যাচ পণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কোনো ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়নি।

কী হবে বাংলাদেশ দল পাকিস্থানের কাছে হেরে গেলে?

বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলেও বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা থাকবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ–থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকে। ওই ম্যাচটিতে চমক দেখিয়ে থাইল্যান্ড জিতলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায় নিশ্চিত, এখানে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। কিন্তু যদি বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের কাছে হারার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি থাইল্যান্ডকে হারায়, তাহলে সমীকরণ ভিন্ন হয়ে যাবে।

সেক্ষেত্রে নেট রান রেট হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল বাংলাদেশের চেয়ে রান রেটে বেশ পিছিয়ে, এখন শেষ দিনে বাংলাদেশকে টপকে যেতে হলে পয়েন্ট সমান করার পর জয়ের ব্যবধানও বড় রাখতে হবে। নেট রান রেটের কারণে ব্যবধান হতে হবে ২৫০ রানের।

অর্থাৎ যদি,বাংলাদেশ দল যদি পাকিস্তানের কাছে ১০০ রানে হারে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হবে ১৫০ রানে। বাংলাদেশ দলের হারের ব্যবধান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ব্যবধানের যোগফল ২৫০ করলেই নিগারদের টপকে যেতে পারবে ক্যারিবীয়রা।

আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি থাইল্যান্ডের রান তাড়া করতে নামে, সে ক্ষেত্রে কত ওভারের মধ্যে জিততে হবে তা নির্ভর করবে লক্ষ্যের ওপরে। সাধারণত ২০ ওভারের ভেতরে রান তাড়া করে ফেললে সেটা ১৫০ রানে হারানোর ব্যবধানের সমমান হয়ে থাকে।

তবে এত সব হিসাব লাগবে না। বাংলাদেশ দল যদি আগেভাগেই পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারে, সেটা এক রানে হোক বা এক উইকেটেই হোক ।

এদিকে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর বসবে ভারতে। নারী ক্রিকেটের সর্ববৃহৎ এই আয়োজনে ২০২২ সালে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে শুধুমাত্র একবারই।

বাংলাফ্লো/এসএস