বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: বললে গাধা মনেরদুঃখেঅনেকখানিভেবে-
“বয়েস গেলখাটতেখাটতে, বৃদ্ধহলামএবে,
কেউনাকরেতোয়াজতবু, সংসারেরকিরীতি !
ইচ্ছেকরেএক্ষুনিদিইকাজেকর্মেইতি।
— সুকুমার রায়
পৃথিবীর সব মায়ের কাছেই তার সন্তানটি গাধা। বিশেষ করে সে যদি হয় পরিবারের বড় সন্তান তাহলে তার অবস্থা কবিতার এই গাধার মতোই হয়, খাটতে খাটতে জীবন শেষ হলেও কেউ মূল্য দেয় না।
ছন্দের জাদুকর সুকুমার রায়ের কবিতার মতো সত্যিই গাধা এভাবে দুঃখ করে কিনা তা যেমন মানুষের অজানা, তেমনি গাধার পরিশ্রমের তোয়াজ করতে মানুষ পালন করছে `বিশ্ব গাধা দিবস`, এটিও হয়তো গাধার অজানা।
বিগত কয়েক শতাব্দীতে গাধা মানুষের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে কৃষিকাজ, এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও গাধার অবদান অনস্বীকার্য। গাধা দীর্ঘকাল ধরে মানুষের সঙ্গী হিসেবে কাজ করে এসেছে। নির্মাণ কাজে ভার বহনে, কৃষিকাজে জমিচাষে কিংবা চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে—সব ক্ষেত্রেই এ প্রাণীর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
প্রতিবছর ৮ মে বিশ্ব গাধা দিবস পালন করা হয় প্রাণী কল্যাণ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে।
বিশ্ব গাধা দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো এই প্রাণীটির প্রতি যত্নশীল মনোভাব গড়ে তোলা এবং তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা। দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিও গাধার খাদ্য ও পরিচর্যার দায়িত্ব নেয়। মানুষকে উৎসাহ দেয় এসব সংস্থাকে অর্থসহায়তা দিতে।
দিবসটি আমাদের স্মরন করিয়ে দেয়, গাধা ‘বোকা’ প্রাণী নয়— বরং আমাদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে সব সহ্য করে নিরলস পরিশ্রম করা এক বন্ধু। তাই গাধার প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন।
বিশ্ব গাধা দিবস পালনের মাধ্যমে প্রাণীটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও প্রাণীটির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। সেই সাথে গাধার প্রতি যত্নবান হওয়ার আহ্বান করা হয় সকলকে। আজ বিশ্ব গাধা দিবসে পৃথিবীর সকল গাধার প্রতি রইলো ভালোবাসা।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0