বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আবরার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় রবিবার

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স), জেল আপিল ও আপিলের রায় আগামীকাল রোববার ঘোষণা হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স), জেল আপিল ও আপিলের রায় আগামীকাল রোববার ঘোষণা হতে পারে।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য রোববারের কার্যতালিকায় রাখেন। এর আগে, নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে মামলাটির ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ রাখেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে আবরারকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতের রায় পর্যালোচনার জন্য ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে প্রেরণ করা হয়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকালসহ আরও অনেকে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, সদস্য আকাশ হোসেন ও মোয়াজ আবু হোরায়রা।

রোববার হাইকোর্টের রায়ে মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে পারে।