নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে আবার ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গত বুধবার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) দেড় বিলিয়ন ডলার শোধের পর গত ১১ নভেম্বর রিজার্ভ ১৮ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে নামে। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত সরকারের পতনের পর রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি সম্ভব হচ্ছে রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২ শতাংশ। এ কারণে রমজান সামনে রেখে আমদানি বাড়লেও রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ায় ২০২১ সালের আগস্টে। আমদানি দায় মেটাতে বাজারে রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রির করাসহ নানা কারণে রিজার্ভ কমে যায়। বাংলাদেশে বর্তমানের রিজার্ভ প্রায় চার মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান। কোনো দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন মাসের আমদানি দায় মেটানোর খরচের নিচে নামলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। আর ৬ মাসের বেশি রিজার্ভ থাকাকে স্বস্তিদায়ক গণ্য করা হয়।