স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে বল হাতে ৩ উইকেট নিলেও অলরাউন্ডার অভিষেক দাস অরণ্য পার্শ্বনায়ক–ই থেকে গিয়েছিলেন। এর পরের গল্পটা কেবলই হতাশা, মন খারাপ আর আক্ষেপের। সেই আক্ষেপ মিটিয়ে তিনি সেপ্টেম্বরে মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ২০২০ সালের পর থেকে মাঠের ক্রিকেটেই তেমন দেখা যায়নি অভিষেককে। ইনজুরির কারণে সবসময় বাইরে থাকতে হয়েছে নড়াইলের এই ক্রিকেটারকে। এর আগে বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার পরপরই তিনি চোটের কবলে পড়েছিলেন, ইনজেকশন ও রিহ্যাভ নিলেও অভিষেকের আর বাইশ গজে ফেরা হয়নি।
২০২১ সালে অভিষেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুরুতে দুবাই নেওয়ার ভাবনা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে শেষমুহূর্তে ভারতেই হয়েছিল অভিষেকের পিঠের চিকিৎসা। সেবার ইনজেকশন নিয়েই দেশে ফিরেছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর দেশে ফিরে মার্চ মাসের ১৫ তারিখ একটি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলেন অভিষেক।
পরে ২০২২ সালে শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলেছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। এরপর চোটের কারণে আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলা হয়নি অভিষেকের। এখনও মাঠের বাইরে রয়েছেন তিনি, একইসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন ফেরার লড়াইও। তবে অভিষেককে ঘিরে একটি সুসংবাদ মিলেছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে আবারও মাঠের ক্রিকেটে ফিরবেন অভিষেক। গণমাধ্যমকে তিনি বলছিলেন, ‘আগের থেকে বেশ ভালো আছি। অনেকটাই সুস্থ এবং বোলিং করতে পারছি। সঙ্গে ব্যাটিংয়েও জোর দিচ্ছি। অলরাউন্ডার হিসেবেই খেলব।’
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0