স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা লাওসে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের বাছাই খেলছে। সেই মুহূর্তে ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে এএফসি’র অ-১৭ নারী বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বের। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদরদপ্তর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ঘণ্টাখানেক পর বালক অ-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাই ড্র–ও হবে।
এশিয়ার ২৭ টি দেশ এই বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করছে। ২৭ দেশকে ভাগ করা হয়েছে আট গ্রুপে। ‘এ’ থেকে ‘সি’ গ্রুপে চারটি করে দল, আর ‘ডি’ থেকে ‘এইচ’ গ্রুপে তিনটি করে দল। বাংলাদেশ পড়েছে সর্বশেষ ‘এইচ’ গ্রুপে। এই গ্রুপে বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে ও জর্ডান। এই গ্রুপের স্বাগতিক জর্ডান। বাংলাদেশের সিনিয়র নারী ফুটবল দল মে মাসে জর্ডান সফর করেছিল। দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল সেখানে। এখন অ-১৭ নারী দলকেও জর্ডান সফর করতে হবে।
আগামী ১৩-১৭ অক্টোবর আট দেশের আট ভেন্যুতে এএফসির বয়সভিত্তিক বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন আগামী বছর ৩০ এপ্রিল থেকে ১৭ মে চীনে মূল আসরে খেলবে। চলতি বছর মরক্কোয় অনুষ্ঠিতব্য ফিফা অ-১৭ নারী বিশ্বকাপে এশিয়ার চার প্রতিনিধি চীন, জাপান, দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া সরাসরি খেলবে মূল পর্বে।
২০১৭, ২০১৯ ও ২০২৪ আসরের পারফরম্যান্স অনুযায়ী পট সাজিয়েছে এএফসি। ২০১৭ ও ১৯ সালে সানজিদা-মারিয়ারা টানা দুই বার মূল পর্বে খেলেছিল। এজন্য এবার এফসি অ-১৭ নারী টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে বাংলাদেশ ছিল এক নম্বর পটে। এক নম্বর পটে সবার শেষে বাংলাদেশের নাম উঠেছে। ফলে তারা পড়েছে সর্বশেষ গ্রুপে।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলে বাক বদলের শুরুটা মূলত এই আসর থেকেই। এএফসি অ-১৬ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ মূল পর্বে উঠেছিল ২০১৬ সালে। অ-১৬ পর্যায়ে নারী ফুটবলে বাংলাদেশ এশিয়ার শীর্ষ আট দলের একটি। তখন থেকেই বাফুফে নারী ফুটবলের সম্ভাবনা বিচার করে দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতেই মূলত টানা দুই সাফ চ্যাম্পিয়ন ও প্রথমবার সিনিয়র এশিয়া কাপ খেলতে যাচ্ছেন মারিয়ারা।
২০২৪ সালে সর্বশেষ আসরে বাংলাদেশ মূল পর্বে খেলতে পারেনি। সানজিদাদের পুরোনো রেকর্ড তাদের জুনিয়রররা আবার ফিরিয়ে আনতে পারেন কি না সেটাই দেখার বিষয়। অক্টোবরের মাঝামাঝিতে এই টুর্নামেন্ট হওয়ায় পিটার বাটলারের কোচিং করানোর সম্ভাবনা কম। কারণ সেই সময় বাটলার পুরোদমে সিনিয়র দলে ব্যস্ত থাকবেন।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0