সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

সফল অস্ত্রোপচারে আলাদা হওয়া জমজ শিশু জুহি ও রুহি ফিরছে বাড়িতে

অস্ত্রোপচারটি হয় গত জুন মাসের ২৪ তারিখে। দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর বর্তমানে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: নীলফামারীর জলঢাকায় জন্মগতভাবে জোড়া লাগা জমজ শিশু জুহি ও রুহিকে সফলভাবে আলাদা করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) তারা বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। অস্ত্রোপচারটি হয় গত জুন মাসের ২৪ তারিখে। দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর বর্তমানে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।

শিশু সার্জারি বিভাগের (ইউনিট-২) অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনার (শিউলি) নেতৃত্বে এই জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, জোড়া লাগানো দুই শিশু রুহি ও জুহি গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়। যেহেতু তারা ছোট ছিল তাই তাদের অবজারভেশনে রেখে মেডিকেলে বোর্ড গঠন করার পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় তাদের। গত ২৪ জুন তাদের চার ঘন্টার সফল অস্ত্রোপচার করে পৃথক করা হয়।

অস্ত্রোপচারে শিশু সার্জারি ছাড়াও প্লাস্টিক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নিওনেটোলোজি, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং, অর্থোপেডিক, নবজাতক বিভাগ, নিউরো সার্জারি ও অ্যানেস্থেসিওলোজি বিভাগের চিকিৎসকরা অংশ নেন। ডা. কানিজ হাসিনা জানান, অস্ত্রোপচারের পর দুই শিশুকে হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রাখা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণ, বিশেষায়িত চিকিৎসা ও সেবার পর বর্তমানে তারা সুস্থ আছেন। তাদের খাওয়া-দাওয়া, পায়খানা, পস্রাব করতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, এটি ছিল দীর্ঘ ও জটিল একটি অস্ত্রোপচার। প্রতি মুহূর্তে জুহি ও রুহির সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নীলফামারীর রিকশাচালক বাবা ও গৃহিণী মায়ের দ্বিতীয় সন্তান জুহি ও রুহিকে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসাসামগ্রীর সহায়তা দিয়েছে। এই সফলতার জন্য পুরো চিকিৎসক টিম, নার্স ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

শিশুদের মা শিরিনা বেগম জানান, আমাদের ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। বর্তমানে জুহি ও রুহির বয়স ৭ মাস ২৩ দিন চলে। জন্মের পরেই তাদের দু’জনের শরীর জোড়া লাগানো ছিল। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসার পর দীর্ঘ পাঁচ-ছয় মাস চিকিৎসা শেষে গত জুন মাসে তাদের অপারেশন করে আলাদা করা হয়। দুই মেয়ে এখন ভালো আছে চিকিৎসকরা আজ আমাদের ছেড়ে দিয়েছেন। আমি চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাফ্লো/সিএস


Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0