জেলা প্রতিনিধি
পঞ্চগড়: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া ও চরম ক্ষোভ।
বুধবার (৪ জুন) সকালে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের ব্যাংহারিপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- সপিজ উদ্দিনের ছেলে রব্বানী; পেশায় ভ্যানচালক, লিয়াকত আলীর ছেলে মো. শাহিন; পেশায় ভ্যানচালক ও শফিজুল ইসলামের ছেলে শিক্ষার্থী জামিদুল ইসলাম (২১)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেতে পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে ছিল। বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে জানানো হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় লোকজন মাঠে ভুট্টা তুলতে যান। কিন্তু আকস্মিকভাবে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই জামিদুল মারা যান। অন্য দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আহত পাঁচজনের মধ্যে গুরুতর আহত জয় ইসলামকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাফিলতির কারণেই এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তারা ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পঞ্চগড়ের ডিজিএম মো. মাজহারুল আলাম দাবি করেন, বিদ্যুৎ লাইনটি তাদের নয়, এটি ছিল নেসকোর (নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড)। তবে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সত্যজিৎ দেব শর্মার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল কাশেম জানান, তিন জনকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে দুই জন মৃত অবস্থায় আসে, একজনকে রেফার করা হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল বাকি জানান, ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাফ্লো/এসকে
Comments 0