বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় করা মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মামলার মূল চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন নিহত সোহাগের বোন মঞ্জু আরা বেগম।
রবিবার (৩ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, মামলার প্রধান চার আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। মামলায় তারা জোগানদাতা, সাহসদাতা, অর্থদাতা। তারা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এই চার আসামি বাইরে থাকলে আমরাও নিরাপদ না।
মঞ্জু আরা বেগম বলেন, এ চারজন হলেন— ভাইয়া রনি, রাকেস, টিটু, কাইয়ুম মোল্লা। এই ফুটপাতের মোল্লা কে? এ মোল্লাকে ধরেন। সে একজন সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীকে কে সেল্টার দেয়? তাকে ধরেন। যারা সোহাগকে হত্যা করেছে, তাদের মধ্য কিছু ভাড়াটিয়া আছে, কিছু বাইরের পোলাপান জড়িত আছে। তাদের ধরা হলেও মেইন আসামিকে ধরা হয়নি।
নিহত সোহাগের ভাগনি সাদিয়া আক্তার মীম বলেন, আমার মামাতো ভাইয়েরা এখনও তার বাবার কথা বলে কান্না করে। অথচ হত্যার মূল আসামিরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় একজন বলে, ওই দেখ দেখ সোহাগের ভাগনি ও মেয়ে যাচ্ছে। ওই লোকদের আমরা দেখেছি। কিন্তু তাদের পরিচয় জানা নেই। টিটু বাইরে থাকায় আমরা এখনও নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছি।
নিহত সোহাগের দোকানের কর্মচারী ইসমাইল বলেন, এ ঘটনার সূত্রপাত ৭ তারিখে। ওইদিন ওনাকে মারধর করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে রাতেই উনি পালিয়ে যান। পরের দিন তাকে ফোন করে জানানো হয়— সারোয়ার হোসেন টিটু সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছে। এ সংবাদ পেয়ে তিনি বাসায় আসেন। তার বাচ্চাদের ভাষ্যমতে, ফয়সাল নামে একজন তাকে কল দিয়ে দোকানে ডেকে আনে। তাদের তো ধরা হয়নি।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0