মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হারিয়ে যাওয়া বর্ষণ ফিরছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে

বর্ষণ গত বছরের ডিপিএলে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন। পরবর্তী ১৫ মাস ধরেই লড়ছেন ইনজুরির সঙ্গে। তবে আসন্ন এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে মাঠে ফেরার আশা করছেন তরুণ এই পেসার।

ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক

ঢাকা: ২০২৩ সালে যুব এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ। দারুণ পারফর্ম করে অল্প সময়েই সকলের নজর কাড়েন ডানহাতি এই পেসার। ২০২৪ সালের বিপিএলেও বর্ষণ দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপরই তার তিক্ত সময় শুরু, পায়ের ইনজুরির কারণে লম্বা সময় ধরেই মাঠের বাইরে আছেন তিনি।

বর্ষণ গত বছরের ডিপিএলে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন। পরবর্তী ১৫ মাস ধরেই লড়ছেন ইনজুরির সঙ্গে। তবে আসন্ন এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে মাঠে ফেরার আশা করছেন তরুণ এই পেসার। বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন, এরপরই মাঠের ক্রিকেটে ফেরার লক্ষ্য বর্ষণের। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়াতে পারে এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বর্ষণ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ এখন ভালো (আছি) আমি। ফুল রিদমে বোলিং করতে পারতেছি, এই মুহূর্তে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। বাকিটা ফিজিও ট্রেনার ও ডক্টরদের ওপর। তারা যদি আমাকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়, তাহলে আমি এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরতে চাই। ওটাই আমি প্ল্যান করতেছি, যদি কয়েকটি ম্যাচও খেলতে পারি তবে সেটা আমার বিপিএলের (খেলার) জন্য ভালো হবে।’

এনসিএলে নিজ বিভাগ রংপুরের হয়েই খেলার লক্ষ্য বর্ষণের, ‘এনসিএল খেললে রংপুর বিভাগের হয়ে খেলব। দেখতে দেখতে প্রায় ১৫-১৬ মাস আমি মাঠের বাইরে। গত বছর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে পারেনি। এবারও পারলাম না, যেতে পারতেছি না যে এটা অবশ্যই কষ্টদায়ক।’

লম্বা সময় ধরে ইনজুরি থাকায় নিজেকে নিজে প্রেরণা দেন ২০ বছর বয়সী এই পেসার, ‘মাঝে মাঝে মন খারাপ হয় তবে কিছুক্ষণ পর আবার ভালো হয়ে যায়। কারণ আমি জানি যদি সুস্থ থাকি তাহলে কী করতে পারব। বাকিরা ভালো করলেও আমার হিংসা আসে না, কারণ ওরা ভালো করতেছে করুক আলহামদুলিল্লাহ। আমি যদি সুস্থ থাকি আমিও ওদের মতো ভালো করতে পারব। এজন্য অতটা মন খারাপ হয় না, তবে ক্ষণিকের জন্য হয় আরকি খেলতে না পারায়।’

এখন পর্যন্ত লিস্ট ‘এ’ শ্রেণিতে ৬ এবং ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন বর্ষণ। যেখানে তার শিকার ৬ উইকেট। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশি এই পেসার ৪ ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯টি উইকেট নিয়েছেন। দেশীয় বোলারদের মধ্যে তার ওপরে ছিলেন কেবল শেখ পারভেজ জীবন। যদিও টুর্নামেন্টটিতে তিনি এক ম্যাচ (৫ ম্যাচে ১০ উইকেট) বেশি খেলেছেন।

বাংলাফ্লো/এসও

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0