স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: লম্বা ক্যারিয়ারে খেলেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে নেইমারের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার বেশ সমৃদ্ধই। ৪৮ দলের আগামী ফিফা বিশ্বকাপ তার কাছে অন্য আসরগুলো থেকে ভিন্ন কিছু হবে বলেই মনে হচ্ছে। ব্রাজিল তারকা মনে করেন, ফুটবলকে নতুন কিছু উপহার দিতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত ৩২ দল থেকে ৪৮ দল করা হয়েছে। স্বাভাবিভাবেই তাতে বেড়ে যাবে ম্যাচের সংখ্যা। ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশের এমন অনেক দেশ তাতে সুযোগ পাবে বিশ্বকাপ খেলার, যার আগে কখনই অংশ নেয়নি এই মহাযজ্ঞে।
সম্প্রতি এনবিএ ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালের চলাকালীন ডিজনিপ্লাস-এর সাথে এক আলাপচারিতায় এই বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের রোমাঞ্চের কথা জানিয়েছেন নেইমার। “দেখবেন শুধু, এবারের বিশ্বকাপটা কেমন হয়। এখানে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মত কিছুই হবে, যা অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে। আর সেটা সবার জন্য ভালোই হবে।”
ফুটবলার হলেও এনবিএ-এর ম্যাচ দেখতে এসে নেইমার পেয়েছেন এমন এক অভিজ্ঞতার স্বাদ, যা তাকে দিয়েছে আনন্দের উপলক্ষ্য। তিনি বলেন, “এখানে কিন্তু আপনি কেবল একটা বাস্কেটবল ম্যাচই দেখতে যান না। এখানে বিরতিতে কেউ নাচে, কেউ আবার বল ছুঁড়ে স্কোর করে। ম্যাচের আগে আবার বিখ্যাত কেউ জাতীয় সঙ্গীত গায়। এসবের মাধ্যমে তারা পুরো অভিজ্ঞতাটাকে উপভোগ্য করে তোলে।”
ফুটবলে প্রায়ই একটা আওয়াজ ওঠে কিছুটা পরিবর্তন আনার। এসবের মধ্যে রয়েছে দুই অর্ধের সময় কমিয়ে আনা থেকে শুরু করে বিরতিতে কনসার্ট আয়োজনের। নেইমার মনে করেন, ফুটবলেও এনবিএ-এর এই ধরনের উপস্থাপনাকে গ্রহণ করা উচিত। তিনি জানান, “ফুটবলে ৯০ মিনিটের খেলা হয়, কিন্তু সেখানে বিরতিতে দর্শকদের জন্য কিছুই থাকে না। সবাই স্টেডিয়ামের গেটে চলে যায়। কেন মাঠের ভেতরে কিছু করা হয় না? আমি জানি না ভিন্ন কিছু কেন করা যায় না।”
৩৩ বছর বয়সী নেইমার তিনটি বিশ্বকাপে খেলেছেন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২২ সালে। ব্রাজিল জাতীয় দলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি (৭৯ গোল)। এই মুহূর্তে চোটের কারণে ব্রাজিল দলের বাইরে থাকলেও ভালোভাবেই আছেন কার্লো আনচেলত্তির ২০২৬ বিশ্বকাপের পরিকল্পনায়।
ক্লাব ফুটবলে নেইমার চলতি বছরে জানুয়ারিতে সৌদি আরবের আল-হিলালের সাথে চুক্তি বাতিল করে যোগ দেন ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে, যেখানে চুক্তির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হচ্ছে।
বাংলাফ্লো/এসও
Comments 0