বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৩২ নম্বরে ফুল দেওয়া রিকশাচালকের জামিন মঞ্জুর, মুক্তির অপেক্ষা

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

ছবি: বাংলাফ্লো

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির পর গ্রেপ্তার হওয়া রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমান হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে জামিনের এই আদেশ দেন। এদিন আসামিপক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন আবেদন করেন, অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের যুক্তি শুনে আদালত তাকে জামিন দেন।

এর আগে গত ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গেলে গণপিটুনির শিকার হন আজিজুর। পরে পুলিশ তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিনের আদালত তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় করা এক হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সাইন্সল্যাব এলাকায় মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় মো. আরিফুল ইসলামকে গুলি ও বিস্ফোরকের হামলার মুখে পড়তে হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে দুই মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনায় তিনি এ বছরের ২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারের সময় গণমাধ্যমে আজিজুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, আমি কোনো দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। তাই এসেছিলাম। আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তাই আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।

এদিকে পুলিশের আবেদনে আদালতে বলা হয়, হত্যাচেষ্টা মামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও বাদীর জবানবন্দিতে আসামির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ধস্তাধস্তির সময় তিনি সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলা তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।

তাকে গ্রেপ্তার দেখানো মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সাইন্সল্যাব এলাকার মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর আড়াই টায় আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। গুলি ভুক্তভোগীর পিঠ দিয়ে ঢুকে গেলে তাৎক্ষণিক পড়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ২ মাস চিকিৎসা শেষ সুস্থ হন। এ ঘটনায় এ বছরের ২ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ভুক্তভোগী আরিফুল।

বাংলাফ্লো/সিএস


Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0