পুলিশ ক্যাম্পে হামলা: র‍্যাবের হাতে বাহিনীর প্রধানসহ তিনজন গ্রেপ্তার

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুলিশ ক্যাম্পে হামলা: র‍্যাবের হাতে বাহিনীর প্রধানসহ তিনজন গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র ডাকাতদের হামলা ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত কুখ্যাত নয়ন-পিয়াস-রিপন বাহিনীর প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

ছবি: সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র ডাকাতদের হামলা ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত কুখ্যাত নয়ন-পিয়াস-রিপন বাহিনীর প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। ঢাকায় দুটি এলাকা এবং গাজীপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে র‍্যাব-১১-এর অপস অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২৮ আগস্ট মধ্যরাতে রাজধানীর মতিঝিলের গাংচিল হোটেল থেকে হামলার ঘটনায় জড়িত মো. হারুন (৪৭) কে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা এলাকা থেকে মো. জামিল উদ্দিন মাসুম (৪০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সকালে গাজীপুর সদর থানার তেলিপাড়া এলাকা থেকে বাহিনীর প্রধান রিপন (৪১) কে ধরা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব সূত্র জানায়, রিপনের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ২৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২টি অস্ত্র মামলা, ৫টি ডাকাতি মামলা, ৫টি হত্যা ও হত্যা চেষ্টা মামলা, ২টি চাঁদাবাজি মামলা, ৫টি চুরি মামলা, ১টি মাদকদ্রব্য মামলা এবং আরও ৩টি অন্যান্য মামলা।

গণমাধ্যম ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৫ আগস্ট বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে গজারিয়া থানার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে নয়ন-পিয়াস-রিপন বাহিনীর সদস্যরা সশস্ত্র হামলা চালায়। পুলিশের পাল্টা গুলির মুখে পড়ে তারা ট্রলারে করে চাঁদপুরের মতলব থানার দিকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদী ও এর শাখা নদীতে অবৈধ বালুমহল চালিয়ে আসছিল। পাশাপাশি তারা চাঁদাবাজি, হত্যা ও নৌ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল। এর ফলে ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিল অনেক পরিবার। তবে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পর ধীরে ধীরে স্থানীয়রা গ্রামে ফিরতে শুরু করে।

এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা এসআই (নিরস্ত্র) সৈয়দ আজহারুল ইসলাম। গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাফ্লো/সিএস