স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: এবারের আইপিএলে মোস্তাফিজুর রহমান নিলাম থেকে কোনো দল পাননি। শেষবার খেলেছিলেন চেন্নাইয়ে। তাকে এবার ধরেও রাখেনি মাহেন্দ্র সিং ধোনির দল। বাধ্য হয়ে টিভির পর্দাতেই চোখ রাখতে হয়েছিল।
কিন্তু তার কপাল খুলে যায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধে। একাধিক বিদেশী ক্রিকেটার যখন ভারত ছাড়ছিলেন তখন দল গোছানো কঠিন হচ্ছিল ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর। স্থগিত হওয়া আইপিএল শুরু হলে মোস্তাফিজকে দলে ভেড়ায় দিল্লি ক্যাপিটালস। মোস্তাফিজ আগেও দিল্লিতে খেলেছিলেন।
দিল্লি সেরা চারে না উঠায় তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় বাংলাদেশি পেসারের। গুজরাটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে কোনো উইকেট না পেয়ে ২৪ রান দিয়েছিলেন। পরের ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৩০ রানে পেয়েছিলেন রোহিত শর্মার উইকেট। দুই ম্যাচেই হেরেছিল তার দল।
গতকাল নিজেদের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে বাঁহাতি পেসারের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। জিতেছে তার দলও। মোস্তাফিজ ৩৩ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আগে ব্যাটিং করে পাঞ্জাব কিংস ৮ উইকেটে ২০৬ রান করে। জবাবে দিল্লি শেষ ওভারে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।
জয়পুরে ৪১৪ রানের ম্যাচে মোস্তাফিজ ৮.২৫ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন। যেখানে ডট বল ছিল ৮টি। চার হজম করেছেন ১টি। ছক্কা ২টি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেটের স্বাদ পান। বাঁহাতি ব্যাটার প্রিয়ান্স আয়রা মোস্তাফিজের শর্ট অব লেন্থের বল পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। প্রথম ওভারে ৫ রানে ১ উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে ১৪ রান বিলিয়ে আসেন।
১৬তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। এবারও পঞ্চম বলে পেয়ে যান উইকেট। আক্রমণাত্মক ব্যাটার শশাঙ্ক সিং লং অনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ফিরে এসে মাত্র ৪ রান দেন তিনি। এরপর ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস অলরাউন্ডার জানসেনকে ফেরান। উইকেটের পেছনে ডানহাতি ব্যাটারকে তালুবন্দি করান। ৪ ওভারের দারুণ বোলিং শেষ হয় ওখানেই।
দুই ম্যাচ পর দিল্লি জয় পেয়েছে সামির রিজবীর ব্যাটে। ২৫ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৮ রান করেন সামির। এছাড়া ২৭ বলে ৪৪ রান করেন করুন নায়ার।
১৪ ম্যাচে ৭ জয়ে মোস্তাফিজদের দিল্লির মিশন শেষ হলো।
বাংলাফ্লো/এসও
Comments 0