Logo

উখিয়া ও টেকনাফে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ বাড়িঘর, পাহাড় ধসের শঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের পর চারদিনের বৃষ্টিতে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন গ্রাম, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।

ফাইল ছবি

জেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজার:  কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের অধিকাংশ গ্রাম, বাড়িঘর, চিংড়ি ঘের ও লবণের মাঠ  প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের পর চারদিনের বৃষ্টিতে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন গ্রাম, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ পাহাড়ি এলাকায় থাকা বাড়িঘর ধসে ভেঙে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উখিয়ার পালংখালী, রত্নাপালং, রাজাপালং, জালিয়াপালং, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং হলদিয়াপালং ইউনিয়ন এবং টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, হোয়াইক্যং ও হ্নীলার অধিকাংশ গ্রামে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, বৃষ্টির কারণে নাফ নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে চিংড়ি ঘের ভেঙে পড়ছে।

হ্নীলার লবণ চাষি রহিম উল্লাহ বলেন, এ বছর এমনিতে লবণের দাম কম, তার মধ্যে বৃষ্টিতে আমার সহ অন্যান্য কৃষকদের লবণের মাঠ তলিয়ে গেছে।

হ্নীলা ওয়াব্রাং গ্রামের বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, তিনদিন ধরে পানিবন্দি। বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। খুব দুর্ভোগে আছি। ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।

উখিয়া বালুখালির রোহিঙ্গা ইসমাইল হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিচু জায়গায় থাকা ঝুপড়ি ঘরে পানি ঢুকছে।

উখিয়ার আব্দুল হালিম বলেন, হলদিয়াপালং, রত্নাপালং, রাজাপালং, জালিয়াপালংয়ের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত। পানিতে বিভিন্ন মাঠ ভরে গেছে। মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে। বেশ কিছু স্কুলেও পানি ঢুকছে।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত কিছু কিছু গ্রাম থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। যেসব স্থানে ত্রাণ পৌঁছানোর দরকার তা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বরও কাজ করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের সর্তক করা হয়েছে।

বাংলাফ্লো/এনআর

Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0