আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরও ২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস) মঙ্গলবার সকালে ঢাকাগামী দুটি ফ্লাইটে আসা এসব যাত্রীকে বিমানবন্দরের প্রথম টার্মিনালেই আটক করে।
মঙ্গলবার ( ৫ আগস্ট) বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টাকালে তাদেরকে ফেরত পাঠায় দেশটির সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তারা মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মনিটরিং ইউনিট শুরু থেকেই তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল। সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমানবন্দরের অপারেশন কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়াও তদন্তে জানা যায় তাদের ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছিল অস্পষ্ট এবং উপস্থাপিত তথ্য ছিল অসংগতিপূর্ণ। এসব কারণেই তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
সংস্থাটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকাফেরত দুটি আলাদা ফ্লাইট ব্যবহার করে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের এই প্রচেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর পেছনে তৃতীয় কোনো পক্ষের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
একেপিএস এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ শুহাইলি মোহাম্মদ জেইন জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিরা অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ধারা ৮(৩)-এর বিভিন্ন বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। এসব অপর্যাপ্ততা তাদের প্রবেশের অযোগ্য করে তোলে। মালয়েশিয়ার আইনে এই বিষয়ে কোনো ধরনের আপসের সুযোগ নেই।
বারনামার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যারা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে এসে কাজ করতে চান বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ দেশে ফেরত যান না, তাদেরই ‘উচ্চঝুঁকিপূর্ণ আগমনকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগেও একই ধরনের অভিযোগে একাধিক দফায় শতাধিক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মালয়েশিয়া। ১১ জুলাই ৯৬ জন, ২৪ জুলাই ১২৩ জন এবং ২৫ জুলাই ৮০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ ছিল যথাযথ কাগজপত্র না থাকা, পর্যাপ্ত অর্থ বা হোটেল বুকিং না থাকা এবং অস্পষ্ট ভ্রমণ উদ্দেশ্য।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0