স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: সেই যে গল থেকে শুরু, একে একে কলম্বো, ক্যান্ডি, ডাম্বুলা ঘুরে ঢাকার মিরপুরে এসে শেষ হলো লম্বা এক ক্রিকেটযাত্রা; যেখানে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি২০তে খণ্ড খণ্ড লড়াই জিতেছেন শান্ত-মিরাজ-লিটনরা। প্রথমবার লঙ্কা জয়ের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ জয়ের সফলতা, স্নায়ুর ওপর কম ধকল তো আর যায়নি!
সেদিন মিরপুরে পুরস্কার মঞ্চে ব্রডকাস্ট ক্যামেরা বন্ধ হতেই বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে গড়িয়ে বাচ্চাদের মতো আনন্দ করেছেন শরিফুল, শামীমরা। প্রায় চল্লিশ দিন পর ছুটি পেয়ে পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন অনেকে। লিটন তো গতকালই কিছুদিনের জন্য ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকতে মালয়েশিয়া উড়াল দিয়েছেন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে। এই ছুটিটাও আসলে হাতে পাওয়া। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর আগস্টে ভারতের সঙ্গে ঘরের মাঠে সিরিজ ছিল তাদের। সেটি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এখন সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের আগে আর কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট নেই। ঠিক এই সময়টুকুতে হয়তো অলস বসে না থেকে ফিটনেস ক্যাম্প করবেন কোচ ফিল সিমন্স।
লিটনের চাওয়া সম্ভব হলে এশিয়া কাপের আগে আরেকটি সিরিজ খেলার। ‘এই সিরিজের পর আমাদের কোনো খেলা নেই। কিছুদিন বিরতির পর আবার আমরা ফিটনেসের ওপর মনোযোগ দেব এবং যে সুযোগ আমাদের সামনে আসবে, যদি আমরা ক্যাম্প করি বা কোনো সিরিজ যদি হয়, সেটিকে আবার ম্যাচে রূপান্তর করার চেষ্টা করব।’
আগস্টের ১৭ থেকে ৩১ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে আর তিনটি টি২০ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। এই উইন্ডোতে জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কা সিরিজ রয়েছে। হাতের কাছে একমাত্র আফগানিস্তান দলই ফ্রি রয়েছে। বিসিবি তাদের প্রস্তাব দেবে কিনা জানা যায়নি। কোচ ফিল সিমন্স লিটনদের এই টি২০ দলের কিছু কিছু জায়গায় দুর্বলতা ধরতে পেরেছেন।
অধিনায়ক নিজেও জানিয়েছেন আগামী বছরের বিশ্বকাপের আগে কিছু কিছু জায়গায় তাদের আরও ভালো করতে হবে। ‘গত কিছুদিন ধরে আমরা নতুন বলে খুবই ভালো বোলিং করছি। তবে বোলিং ইউনিট হিসেবে ডেথ বোলিং আরেকটু শক্তিশালী করতে হবে। এটি আমার ধারণা ও গোটা দলও একই রকম মনে করে। অবশ্যই ব্যাটিং তো আছেই (উন্নতির জন্য)। ভালো ব্যাটিং উইকেটে যখন টানা খেলবেন, ভালো ব্যাটিং করবেন, বোলারদেরও ম্যাচ জেতানোর সুযোগটা বেশি থাকবে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ সিরিজ জিতলেও মিরপুরের পিচে ব্যাটিং করা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কা থেকে সিরিজ সেরা হয়ে এসে মিরপুরে তিনি নিজেই তিন ম্যাচে মাত্র ১৭ রান করেছেন। স্বীকার করেছেন ঘরের মাঠে সিরিজটি জিতিয়েছেন তাঁর বোলাররা। ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিম আর পারভেজ ইমনকে নিয়ে স্বস্তির জায়গা থাকলেও মিডল অর্ডারে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে চিন্তার জায়গা থেকেই যাচ্ছে। কোচ কিংবা অধিনায়কের কেউ সে কথা মুখে না বললেও নির্বাচকরা সেটি ঠিকই টের পেয়েছেন। যে কারণে এশিয়া কাপের আগে স্কোয়াডে অন্তত দুটি পরিবর্তন নিয়ে তাদের ভাবতেই হচ্ছে। নাঈম শেখকে নিয়ে প্রত্যাশার জায়গা পূরণ হয়নি।
ব্যাটিং ছাড়াও দলের আরেকটি বিভাগের দুর্বলতা পাকিস্তান সিরিজে দৃষ্টিকটুভাবে ধরা পড়েছে। তাহলো ফিল্ডিং। তিন ম্যাচে লোপা ক্যাচ পড়েছে অন্তত ছয়টি। সেই সঙ্গে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের ফাঁকফোকরও বের হয়ে এসেছে। অনুশীলন ক্যাম্পে হয়তো সময় বাড়িয়ে তার কিছুটা উন্নতি করা যায়। সেটি ম্যাচ প্র্যাকটিসের মতো নিশ্চয় হয় না।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0