স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ক্রিকেটারদের সঙ্গে বলিউড নায়িকাদের প্রেমের সম্পর্ক নতুন নয়। মনসুর আলি খান পতৌদি-শর্মিলা ঠাকুর, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন-সঙ্গীতা বিজলানি কিংবা হালের বিরাট কোহলি-আনুষ্কা শর্মার মতো অনেক উদাহরণ আছে। জানা গেছে, বিয়ের আগে এক অভিনেত্রীর প্রেমে মজেছিলেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব।
১৯৮০ সালে রোমি ভাটিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় কপিলের। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, তাদের সুখের সংসার তৈরির আগে কপিল মন দিয়ে ফেলেন বলিউড নায়িকা সারিকা ঠাকুরকে। তার সঙ্গে অবশ্য কপিলের সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। অল্প দিনেই ভেঙে যায়। তবে পরস্পরকে মন থেকে মুছেও ফেলতে পারেননি। পরে আবারও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তারা।
রোমির সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়ার পর মনোজ কুমারের স্ত্রীর মধ্যস্থতায় সারিকার সঙ্গে আবার যোগাযোগ হয়েছিল কপিলের। তৈরি হয় নতুন সমীকরণ। দ্বিতীয়বার জোড়া লাগে তাদের সম্পর্ক। তার অভিঘাতে দূরত্ব বৃদ্ধি হয় কপিল-রোমির মধ্যে। সারিকাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন কপিল। বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিনেত্রীর পরিচয় করিয়ে দেন। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তবু হঠাৎ ছন্দপতন। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যান তারা। কেন? এ প্রসঙ্গে কখনও মুখ খোলেননি সারিকা বা কপিল।
রোমির সঙ্গে কপিলের আলাপ ১৯৭৯ সালে একটি টেস্ট ম্যাচের সময়। কপিলের বন্ধু সুনীল ভাটিয়ার মাধ্যমে তাদের পরিচয়। কপিলের ঘনিষ্ঠরা বলেন, সে সময় দ্বিধায় ভুগছিলেন কপিল। সারিকা এবং রোমির মধ্যে একজনকে বেছে নিতে পারছিলেন না। আবার কাউকেই দূরে সরিয়ে রাখতেও পারছিলেন না। দুই সম্পর্কের টানাপোড়েনে পড়ে গিয়েছিলেন। প্রভাব পড়ছিল তার খেলাতেও। সারিকার সঙ্গে সম্পর্ক দ্বিতীয়বার ভেঙে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে আবার কাছাকাছি আসেন রোমি এবং কপিল। ১৯৮০ সালে একদিন মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনে রোমিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন কপিল। সে বছরই তাদের বিয়ে।
কপিলের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে সময় লেগেছিল সারিকার। কপিলকে ভুলতে চুটিয়ে সিনেমা করতে শুরু করেন। পরের দু’বছরে ১৮টি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে তার বিয়ে হয় কমল হাসানের সঙ্গে। তার আগে থেকেই ‘লিভ-ইন’ করতেন তারা। বিয়ের আগে ১৯৮৬ সালে জন্ম হয় তাদের প্রথম সন্তান শ্রুতি হাসানের।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0