শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের বিরুদ্ধে আজ (২০ আগস্ট) ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে মামলার অগ্রগতি আরও এক ধাপ এগোবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৮ আগস্ট) পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত শুনানি চলে। এ সময় তিনজন সাক্ষী— শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল এবং রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন— নিজেদের জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দি শেষে তাদের জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। অপরদিকে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

এই মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি থাকলেও তিনি নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত মোট ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ১৭ আগস্ট সাক্ষ্য দেন চারজন— সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার এবং শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম। এর আগে ৬ আগস্ট প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক।

৪ আগস্ট জবানবন্দি দেন আন্দোলনে পঙ্গু হওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও চোখ হারানো দিনমজুর পারভীন। ৩ আগস্ট মামলার সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের আনা পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে সাজানো এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগের আকার ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ রয়েছে ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে আছেন মোট ৮১ জন। গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0