আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেন-এর তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলিরা। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অভিযানটি ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ’-এর অংশ এবং হুতিদের ‘ভয়াবহ মূল্য’ দিতে হবে।
বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল হুদায়দাহ, রাস ইসা ও সাইফ বন্দরের পাশাপাশি ইব ও তাইজ শহরে অবস্থিত রাস কানাতিব বিদ্যুৎকেন্দ্র। হামলার আগে ইসরায়েলি বাহিনী স্থানীয়দের সতর্ক করে এলাকা ছাড়ার আহ্বান জানায়।
কাৎজ আরও জানান, ২০২৩ সালে হুতিদের ছিনতাই করা ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের একটি বাণিজ্যিক জাহাজও ছিল হামলার টার্গেটে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইয়েমেনের পরিণতি হবে তেহরানের মতো। কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তুললে, সেই হাত কেটে ফেলা হবে।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল, যেগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা চলছে। তবে সেগুলো সফলভাবে প্রতিরোধ করা গেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, হুতি বিদ্রোহীদের দাবি, তারা ইসরায়েলের হামলা প্রতিহত করেছে এবং পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হুতি-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ইসরায়েলি হামলার কথা নিশ্চিত করলেও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানায়নি।
গত মে ও জুন মাসেও হুদায়দাহ বন্দর ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছিল। এটি ইয়েমেনের লাখো মানুষের জন্য খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের প্রধান পথ।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইরান-সমর্থিত হুতিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ ও ইসরায়েলের দিকে নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী দাবি করছে, হুতিদের এসব হামলার জবাবে তারা ইয়েমেনে অভিযান চালাচ্ছে এবং হুতি-নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলো ইরান থেকে অস্ত্র পরিবহণ ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0