জেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মতো এক পাশবিক ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরী নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানালে, পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত সজিব (২০) নির্যাতিতা কিশোরীর প্রতিবেশী ফুফা। প্রায় সময়ই তাদের মধ্যে মোবাইলে কথা হতো। শুক্রবার রাতে, সজিব ‘গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে’ বলে ওই কিশোরীকে বাড়ির বাইরে ডেকে নেয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, এরপর সজিব নানা প্রলোভন ও ব্ল্যাকমেইল করে কিশোরীকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে সজিব তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে, সজিবের আরও দুই বন্ধু, সোহেল রানা (১৮) ও নাহিদ ইসলাম (১৯), পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে এক পথচারী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন।
নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর, অভিযুক্তরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শনিবার বিকেলে ওই কিশোরী নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সাহায্য চায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে আসে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
আজ, শনিবার, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0