স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: আইপিএলের টিকিট কেলেঙ্কারির দায়ে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এইচসিএ) সভাপতি জগন মোহন রাও’সহ আরও চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচের টিকিট বিক্রি নিয়ে সংস্থাটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া আরও চারজন কর্মকর্তার মধ্যে ছিলেন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ জেএস শ্রীনিবাস রাও, এইচসিএ’র সিইও সুনীল কান্তে, শ্রী চক্র ক্রিকেট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্র যাদব এবং শ্রী চক্র ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি জি কবিথা।
সর্বশেষ আইপিএলে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সানরাইজার্সের ম্যাচের টিকিট বিক্রি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এই নিয়ে পরে তদন্ত শুরু হয়। তারপরই সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেন সংস্থাটির সভাপতিসহ অন্যরা।
টিকিট কেলেঙ্কারির দায়ে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এইচসিএ) সভাপতি জগন মোহন রাও’সহ আরও চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকেই অভিযোগ করা হয়েছিল এইচসিএর বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, হায়দরাবাদের ম্যাচের কমপ্লিমেন্টারি টিকিট নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ভয় দেখানো, বলপ্রয়োগ এবং ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আরও অভিযোগ করেছে, গত ২৭শে মার্চ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের ম্যাচের আগে জগন স্টেডিয়ামের এফ৩ কর্পোরেট বক্স তালাবন্ধ করে দিয়েছিলেন। এই বক্স লখনউয়ের মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল।
এই বিতর্কের পর তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি একটি ভিজিল্যান্স তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে জানা যায় যে, জগন তার পদের অপব্যবহার করে ফ্র্যাঞ্চাইজির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। এই কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সর্বশেষ আইপিএলে খুব একটা ফর্মে ছিল না হায়দরাবাদ। তারা ষষ্ঠ স্থানে থেকে আসর শেষ করে। ফলে প্লে-অফে জায়গা পায়নি। প্যাট কামিন্সের দল ৬টি ম্যাচ জিতেছে এবং সাতটি ম্যাচে হেরেছে।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0