আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: তীব্র তাপদাহে স্থবির হয়ে পড়েছে ইউরোপ মহাদেশের দেশসমূহ। এ বছর এরই মধ্যে তিনটি হিট ওয়েভ মোকাবিলা করেছে মহাদেশটি। কিছু স্থানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে। তাপমাত্রার এমন আকস্মিক পরিবর্তনের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবসৃষ্ট কারণকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সমগ্র বিশ্বের মত ইউরোপও পুড়ছে তীব্র তাপদাহে। অতিরিক্ত গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাদেশটির লাখ লাখ বাসিন্দা। জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রের্কড করা হয়েছে। এ বছর এরইমধ্যে তিনটি ভয়াবহ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করেছে ইউরোপ। পশ্চিম ইউরোপের কিছু জায়গায় এ বছর অনুভূত হয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তীব্র তাপদাহের কারণে গ্রীসে দেখা গিয়েছে দাবানল, ফ্রান্সে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল। স্পেনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুইমাসে মারা গিয়েছে ১১৮০ জন।
হঠাৎ এমন তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের তথ্য অনুসারে, দ্রুত উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী মহাদেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ইউরোপ। মহাদেশটিতে ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি দশকে তাপমাত্রা ০ দশমিক ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউরোপের এ অবস্থার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে বায়ুমণ্ডলে উচ্চচাপ সৃষ্টির ফলে ভূ-পৃষ্ঠে গরম বাতাসের প্রবাহ অন্যতম। এই গরম বাতাস ভূ-পৃষ্ঠে অত্যাধিক সময় অবস্থান করার ফলে উচ্চ তাপমাত্রা সৃষ্টি করে। যা তাপপ্রবাহকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রের্কড অনুসারে, ২০২৪ সাল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। যেখানে পৃথিবীর পৃষ্ঠের বায়ুর তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা প্রাক-শিল্প যুগের তাপমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি মানব-সৃষ্ট কারণগুলো সমানভাবে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। মানব-সৃষ্ট কারণে ২০১৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বৈশ্বিক তাপমাত্রা ০ দশমিক ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে পরিস্থিত আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাফ্লো/আফি
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0