বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাবিতে স্বৈরাচার পতন দিবসে স্বাধীনতাবিরোধীদের স্মরণে ব্যানার

ঘটনাস্থলে দেখা যায়, টিএসসির অভ্যন্তরের সবুজ চত্বরে স্থাপিত একটি ব্যানারে স্থান পেয়েছেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মতিউর রহমান নিজামী, কাদের মোল্লা, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ আরও কয়েকজনের ছবি।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ৫ আগস্ট “স্বৈরাচার পতন দিবস” উপলক্ষে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ‘৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি সংবলিত ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শনের ফলে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

ঘটনাস্থলে দেখা যায়, টিএসসির অভ্যন্তরের সবুজ চত্বরে স্থাপিত একটি ব্যানারে স্থান পেয়েছেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মতিউর রহমান নিজামী, কাদের মোল্লা, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ আরও কয়েকজনের ছবি।

৫ আগস্টকে “দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস” দাবি করলেও, এদিনে এমন ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজন করায় ছাত্রশিবিরের এই কর্মসূচিকে ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয় একটি প্রতীকী ‘গণভবন’, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফতেহ গণভবন’। পাশাপাশি নির্মিত হয় ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেস’ নামের প্রতীকী ট্রেন। প্রদর্শনী অংশে জায়গা পায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক ছবি ও স্লোগান, যার মধ্যে দেখা গেছে নারী বিপ্লবীর প্রতীকী চিত্র, শহীদ আবু সাইদসহ অন্যান্য শহীদদের ছবি এবং ‘গণভবন দখলের’ নাটকীয় মুহূর্ত।

এছাড়াও, শেখ হাসিনা, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, এবং জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ সরকারের সাবেক ও বর্তমান দায়িত্বশীলদের ব্যঙ্গাত্মক ছবি ব্যবহার করা হয়, যা শাসকগোষ্ঠীর প্রতি সরাসরি কটাক্ষ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

ছাত্রশিবিরের এমন কর্মসূচি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের স্মরণকে ‘ইতিহাস বিকৃতি’ এবং ‘জাতির প্রতি চরম অবমাননা’ হিসেবে উল্লেখ করছেন অনেকেই।

বাংলাফ্লো/সিএস


Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0