বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি সংবলিত ব্যানার ও পোস্টার সরিয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঢাবির সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবিগুলো খুলে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি দেখে বিক্ষোভ শুরু করেন বাম ছাত্রজোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ। এসময় তারা \আমার মাটি আমার মা, রাজাকারের হবে না, স্বৈরাচার আর রাজাকার মিলেমিশে একাকার, একাত্তরের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই, মা মাটি মোহনা রাজাকারের হবে না\ সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর এসে ছাত্রশিবিরের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ছবিগুলো খুলে নিয়ে যান। এসময় ঢাবি ছাত্রশিবির নেতা মাজহারুল ইসলাম ছবিগুলো খুলে নেওয়ার জন্য সম্মতি দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের ছেলেমেয়েরা একটি অভিযোগ এনেছে। আমরা শিবিরের ছেলেদের ডেকে সেগুলো সরিয়ে ফেলেছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা জানতাম না তারা এটা করবে। বিষয়টি আমাদের নজরে আনার সাথে সাথে আমি শিবিরের সাথে যোগাযোগ করেছি, সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ৫ আগস্ট “স্বৈরাচার পতন দিবস” উপলক্ষে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ‘৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি সংবলিত ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শন করে তারা। টিএসসির অভ্যন্তরের সবুজ চত্বরে স্থাপিত একটি ব্যানারে স্থাপন করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মতিউর রহমান নিজামী, কাদের মোল্লা, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ আরও কয়েকজনের ছবি। ৫ আগস্টকে “দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস” দাবি করলেও, এদিনে এমন ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজন করায় ছাত্রশিবিরের এই কর্মসূচিকে ঘিরে সাধারন মানুষের মনে উঠেছিলো নানা প্রশ্ন।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0